মানব গুহ, কলকাতা, এক্সক্লুসিভঃ চোর, ডাকাত, অপরাধী নয়, ‘মানসিক অবসাদগ্রস্থ পুলিশ’ খুঁজতে; এবার আসরে নামল লালবাজার। হ্যাঁ, গল্প হলেও সত্যি। “আপনার ইউনিটে যে সব ‘মানসিক অবসাদগ্রস্থ পুলিশ’ আছেন; তাদের তালিকা তৈরি করে; তাদের সব ডিটেলস ২০ জুনের মধ্যে পাঠান”; জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ, হেডকোয়ার্টারস এর সেই চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে সবার হাতে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশেই; এই চিঠি পাঠানো হয়েছে পুলিশ কর্তাদের কাছে।
‘মানসিক অবসাদগ্রস্থ পুলিশ’ খুঁজতে, লালবাজারের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ, হেডকোয়ার্টারস শুভঙ্কর সিনহা সরকারের সেই চিঠি পৌঁছে গেছে; জয়েন্ট সিপি ক্রাইম, কলকাতা পুলিশের সব ডিসি, সব এসি, পুলিশ ট্রেনিং স্কুল ও আরও অন্যান্য পুলিশ কর্তাদের কাছে। একনজরে দেখে নিন, সেই চিঠির বয়ান।
সম্প্রতি পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে; কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল ১৬ রাউন্ড গুলি চালায়। সেই গুলিতে মৃত্যু এক মহিলার। এরপর ওই পুলিশ কর্মী নিজেও; গুলি চালিয়ে আ’ত্মঘা’তী হন। এই ঘটনার পর রীতিমতো হতভম্ব মানুষ। পুলিশের এই ধরণের আচরণে; ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আমজনতা।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকে বরখাস্তের তালিকায়, পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতির দুই মেয়ে
এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন ওঠে। কেন ওই পুলিশ-কর্মী এই ধরণের ঘটনা ঘটাল? তিনি কি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন? মানসিকভাবে বিধ্বস্ত বা মানসিক অবসাদগ্রস্থ একজনের হাতে; কি করে রাইফেল দেওয়া হল? নিচুতলার পুলিশ-কর্মীদের কি তবে; ঠিকমত ট্রেনিং হচ্ছে না? একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন; হতে হচ্ছে লালবাজারকে।
তাই গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা চালু করার কথা ভেবেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা; নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সমস্যার কথা শুনে তাঁদের সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে তাঁদের মানসিকভাবে; সবসময় চাঙ্গা রাখবে। কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধার সমাধান করবে এই শাখা; একজন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিককে এই গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে ‘মানসিক অবসাদগ্রস্থ পুলিশ’ খুঁজতে; আসরে নামল লালবাজার। তবে The News বাংলা কলকাতার অনেক ডাক্তারের সঙ্গেই; ফোনে যোগাযোগ করেছিল। তাদের প্রত্যেকেই জানান, “মানসিক অবসাদ এমন একটা রোগ; যা খালি চোখে খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার”।