ভোটের মধ্যেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার বাংলায়। কদিন আগেই আসানসোল ষ্টেশনে ১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। তার আগেও বিভিন্ন দফার ভোটের আগে, বড়বাজার ও কলকাতার অন্যান্য জায়গা থেকে; কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এত টাকা আসছে কোথা থেকে? যেতই বা কোথায়? উঠে গেছে প্রশ্ন।
গতকাল বিশেষ সূত্র মারফত খবর আসে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে; কলকাতার বড়বাজার থানা এলাকায় হাতবদল হতে চলেছে বিপুল পরিমাণ নগদ কালো টাকা; লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন এবং গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা সাদা পোশাকে কড়া নজরদারি চালান বড়বাজার থানা এলাকায়।
ওয়াচ সেকশনের অফিসাররা কুণাল কুমার ও রাহুল কুমার নামের দুই সন্দেহভাজনকে মীর বাহার ঘাট রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোড ক্রসিংয়ে আটক করে; তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোট নগদ ৬৫ লক্ষ টাকা।
গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা ৪৬ নং স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় মোহন আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করে ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা; কীভাবে তাদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল; তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজন টাকা পাচারকারীকেই; উদ্ধার হয় মোট নগদ ১ কোটি ৫০ হাজার কালো টাকা; কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ধৃতদের তিন অভিযুক্তের ছবি ও বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ টাকার ছবি প্রকাশিত করা হয়েছে।
ঠিক একই ভাবে কয়েকদিন আগে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কাছে কালো টাকার খবর আসে; সেবারেও উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান টাকা; গ্রেপ্তার করা হয় চার জন টাকা পাচারকারীকে। কীভাবে তাদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল; তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়; কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হাতবদল হতে চলেছে বিপুল পরিমাণ নগদ কালো টাকা। গোয়েন্দা বিভাগের পাঁচটি দল; কলকাতার মোট ১২টি এলাকায় তল্লাশি চালায়। বড়বাজার থানা এবং পোস্তা থানার অন্তর্গত ৪টি এলাকা থেকে; উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ছয় হাজার টাকা।
কিন্তু ভোটের বাজারে এত কালো টাকা কোথা থেকে আসছে সেই নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে সাধারণ জনগনের মনে। প্রতিবারেই ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
সৌজন্যে: কলকাতা পুলিশ