বিচারপতি যখন আমজনতার ভগবান, তখন ৪০ পেরোলেও শিক্ষকের চাকরি সম্ভব। চাকরিপ্রার্থীদের হাহাকারের মধ্যেই এবার স্বস্তির ছবি। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে হয়ে গেল, ৯২ জন চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ পর্ব। ৬ বছর পর হকের চাকরি মেলার একেবারে সামনে আসায়, আদালত ও বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি যেন সাক্ষাৎ ভগবান তাদের কাছে।
একদিকে এখনও অনিশ্চয়তা, আরেকদিকে কিছুটা আশার আলো। একদিকে নিয়োগপত্রের জন্য অনন্ত অপেক্ষা, আরেকদিকে অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে, প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেতে চলেছেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ ৯২ জন পরীক্ষার্থী।
শুক্রবার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে, তাঁদের ইন্টারভিউ ও ভেরিফিকেশন পর্ব হয়ে গেল। চাকরিপ্রার্থীরা একযোগে বলছেন, “ভুল প্রশ্নপত্র মামলায়, আমরা ৬ নম্বর পেয়েছি। পেয়ে আজ ইন্টারভিউ দিলাম। ৪০ বছর পেরিয়ে যাবার পরেও, ইন্তারভিউ দিতে পারলাম, তার জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে প্রণাম। উনি না থাকলে এটা কোনদিন হতই না। উনি আমদের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান”।
এই ৯২ জনের প্রত্যেকেই ২০১৪-র TET পরীক্ষার্থী। সেবারের পরীক্ষায়, ৬টি প্রশ্নে ভুল থাকা নিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের রিপোর্টে, ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার কথা জানায়। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যে পরীক্ষার্থীরা এই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ঠিক বা ভুল যাই হোক, তাঁদের ৬ নম্বর দিতে হবে। ৬ নম্বর বেড়ে যাওয়ায় অনেক চাকরিপ্রার্থীকেই, TET উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কিন্তু দেখা যায়, এই কবছরে অনেকেরই বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। ফলে ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ হারিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীকে, ইন্টারভিউতে বসার ও নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।