শুক্রবার কাঁচড়াপাড়ায় সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত কলকাতা বা সন্নিহিত এলাকায় সভা থাকলে; সড়কপথেই যান মমতা। কিন্তু এদিন নবান্ন থেকে হেলিকপ্টারে কল্যাণী গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে যান সভাস্থলে। জয় শ্রী রাম শোনার ভয়েই কি সড়কপথ ছেড়ে আকাশপথ বেছে নিলেন মমতা? উঠে এলো প্রশ্ন।
আশঙ্কা ছিলই। কাঁচড়াপাড়ায় গেরুয়া শিবির মুখ্যমন্ত্রীকে ফের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনাতে পারে। সূত্রের খবর ছিল; মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা ব্যানার; ফেস্টুন দেখাতে পারেন বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে ডাক্তারের গণ ইস্তফা, তালা ঝুলবে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে
কল্যাণী থেকে কাঁচড়াপাড়া যাওয়ার রাস্তাতেও; বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে পারে বলে খবর ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে; চন্দ্রকোণা এবং নৈহাটির ঘটনার পর বিজেপি এই কৌশলই নিয়েছে। যাতে মুখ্যমন্ত্রী চটে যান; তাতেই গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল। দেখার বিষয় ছিল; শুক্রবার কী হয় কল্যাণী কাঁচড়াপাড়ার রাস্তায়।
কিন্তু এদিন নবান্ন থেকে হেলিকপ্টারে কাঁচড়াপাড়ায় যান মমতা। জয় শ্রী রামের ভয়েই মমতা আকাশ পথে গেছেন; দাবি বিজেপির। সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতেই হেলিকপ্টারে জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল কাণ্ডে রাজ্যের জবাবদিহি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
ভোটের আগে ওই এলাকায় গিয়ে নাম না করে মুকুল রায় এবং অর্জুন সিংকে; ‘দুই গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দিদি। যদিও বীজপুরের বিধায়ক; মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় তখন তৃণমূলেই ছিলেন। এখন তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফেলেছেন।
সঙ্গে কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলররাও সদলবলে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে; ওই এলাকার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই শুক্রবার কাঁচড়াপাড়ায় সভা করতে যান যান মমতা।
আরও পড়ুন: মমতার হুঁশিয়ারির উপেক্ষা করে ডাক্তারদের পাশে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
ইতিমধ্যে মমতার সভার পাল্টা কর্মসূচিও নিয়েছে বিজেপি। শনিবার স্থানীয় আদর্শ সংঘের মাঠে সভা করবেন মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা। মমতার সভার পাল্টা বক্তব্য রাখবেন বিজেপি নেতারা।
এদিন কাঁচড়াপাড়ায় বাংলায় অশান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন মমতা। বললেন; “বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না; বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে”। তাঁর বক্তব্য, “সিপিএম নিজেই নিজেদের সাইনবোর্ড বানিয়েছে; তৃণমূল সাইনবোর্ড হবে না; আমাদের লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই”।