এক লোকসভায় দুজন প্রার্থী। বাংলায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিপেন প্রামাণিক ও জয়ন্ত রায়, দুজনেই নাকি জলপাইগুড়ি লোকসভার বিজেপির প্রার্থী। দুজনেই বিজেপির হয়ে মনোনয়ন পেশ করেছেন। কে আসল প্রার্থী, সেই নিয়েই এবার দ্বিধা বিভক্ত বিজেপি নেতা কর্মীরাও।
আরও পড়ুনঃ শোভন বাদ, তৃণমূলের ভোটের দায়িত্বে রত্না চট্টোপাধ্যায়
জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থীর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সমস্যা। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চূড়ান্ত নাটকীয়তা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। তিনি পেশায় সরকারি চিকিৎসক। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। সরকারি চিকিৎসক হিসাবে ভোটে লড়ার নিয়ম নেই। সরকারি চিকিৎসক জয়ন্ত রায়ের বদলে অন্য প্রার্থী? আর তাই কি মনোনয়ন দিলেন দিপেন প্রামাণিক।
আরও পড়ুনঃ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই শুনবে স্কুল সার্ভিস কেলেঙ্কারির ঘটনা
আগে নিয়ম ছিল, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যদি সরকারি চাকুরিজীবী হন, তাহলে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলে মনোনয়ন পত্র দাখিলের আগেই সরকারি চাকুরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। তা না হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী পেশায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক জয়ন্ত রায় চাকরিতে ইস্তফা দিলেও তা এখনও সরকারিভাবে গৃহীত হয়নি।
আরও পড়ুনঃ খোলা রাস্তায় বসে মমতার ঘেরাটোপ অনশনের রেকর্ড ভাঙল স্কুল সার্ভিস উত্তীর্ণরা
কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক জয়ন্তবাবুও শনিবার তাঁর ইস্তফা জমা দেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই ইস্তফা এখনও মঞ্জুর হয়নি। সাধারণভাবে সেই ইস্তফা মঞ্জুর হতে সময়ও লাগার কথা। কিন্তু বুধবার স্ক্রুটিনির সময়ই জয়ন্তবাবুকে ইস্তফা মঞ্জুর হওয়ার নথি জমা দিতে হবে। না হলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ অভিষেকের স্ত্রী ও সোনা কাণ্ডে এবার রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন
এদিকে, মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। জয়ন্ত রায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়া ও প্রার্থী পদ থাকবে কিনা, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ পদত্যাগের পর কোনও শংসাপত্র তিনি এখনও হাতে পাননি। এদিন জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়ের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেন আরও একজন।
আরও পড়ুনঃ নিজের স্ত্রী ও সোনা কাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক
বিজেপি জানিয়েছে, যদি স্কুটিনির পর জয়ন্ত রায়ের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়, তাহলে তিনিই প্রার্থী হবেন। এক্ষেত্রে বিজেপি আশা রাখছে, স্কুটিনি প্রক্রিয়া চলাকালীনই রাজ্য সরকার পদত্যাগ সংক্রান্ত শংসাপত্র পাঠিয়ে দেবে। আর তা না হলে দিপেন প্রামাণিকই প্রার্থী হবেন বিজেপির।
আরও পড়ুনঃ বাবুল সুপ্রিয়র প্রার্থীপদ বাতিল করা হোক, নির্বাচন কমিশনে অভিষেক
জানা গেছে, প্রথমে জয়ন্তবাবুর ইস্তফা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে মঞ্জুর করতে হবে। তার পরে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দফতরে সেই নথি পৌঁছবে। ভিজিলেন্স দফতর ছাড়পত্র দিলে সেই কাগজ পৌঁছবে নবান্নে। তার পরে ইস্তফা মঞ্জুরির চূড়ান্ত নথি হাতে পাবেন জয়ন্ত রায়। এক সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য, “সাধারণত এই প্রক্রিয়ায় মাসখানেক সময় লাগে। চটজলদি হলে ১৫ দিন লাগতে পারে। নবান্ন চাইলে আরও কম সময়েও হতে পারে”। তবে বিজেপির নেতারা কেন আগে থেকে প্রস্তুতি নেননি সেই প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।