The News বাংলা: অবিশ্বাস্য ব্যাপার। ‘খুল্লামখুল্লা’ কালোবাজারি! ফিল্মের টিকিট ব্লাকের মত এবার প্রকাশ্যে ভারতীয় টাকার কালোবাজারি! বিশেষ নাম্বার বিশিষ্ট ভারতের ১০০ টাকার নোট বিক্রি হচ্ছে ৬৯৯ টাকায় বা ১৫৬০ টাকায়। প্রকাশ্যে ভারতীয় আইন-কানুনকে বুড়ো আঙুল অনলাইন মার্কেটিং সংস্থাগুলির।
এটার মানে কি! এ তো প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কালাধান্দা! তাও আবার ভারতীয় টাকার। ৭৮৬ সিরিয়াল বিশিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পবিত্র সংখ্যার ১০০ টাকার নোটগুলি প্রতিটি ৬৯৯ টাকা/- দরে বেচতে চাইছে স্নাপডিল (Snapdeal)! আমাজন, ওএলএক্স, ইবে, এরাও ঢালাও বেচছে ভারতীয় নোট। এরকম করা যায় না কি?! দেশ জুড়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এইভাবে মুসলিম ধর্মে প্রকাশ্যে সুড়সুড়ি দিয়ে অপরাধ করেও কি করে পাড় পাওয়া যায়? দেশ জুড়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয়রা। দেদার বিক্রিও হচ্ছে এই ১০০ টাকার নোট। এইভাবে ভারতীয় ১০০ টাকার নোট নিয়ে কালোবাজারি করা যায়? এটা কি অপরাধ নয়? প্রশ্ন তুলেছেন যাদের নজরে পড়েছে তাদের অনেকেই।
শুধু ১০০ টাকার নোটই নয়, বিশেষ সংখ্যার অনেক নোটই বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দরে। ৭৮৬ সিরিয়াল নাম্বারের ১০০ টাকার নোট এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ নাম্বারের নোট বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দরে।
এইভাবে সংখ্যালঘুদের ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভারতীয় টাকা বেচার বিষয়টি নিন্দা করেছেন সবাই। এটা অপরাধ নয়? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকেই। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? তাঁরা বলছেন ভারতীয় কয়েন অনলাইনে বা অন্য কোথাও বেচা যায়। কিন্তু ভারতীয় নোটের ব্যাপারে তেমন কিছু বলা নেই।
কিন্তু ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ইনদোর হাইকোর্ট এই নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ জারি করেছে। আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে এটা ভারতীয় টাকার কালোবাজারি। এখনই এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। ১৯৩৪ সালের রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ২২, ২৩, ২৪, ও ২৬ নাম্বার ধারাকে সম্পূর্ণ ভাঙা হচ্ছে এর মাধ্যমে।
২০১৫ সালেই সরকারকে নজর দিতে নির্দেশ দেয় মধ্যপ্রদেশের ইনদোর আদালত। শুধু তাই নয়, বিচারপতি পিকে জয়সওয়াল ও টিকে কৌশল অনলাইন মার্কেটিং সংস্থাগুলোকে নোটিশ জারি করেন। উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য নোটিশের কপি পাঠানো হয় অর্থমন্ত্রকে, রিজার্ভ ব্যাংকে ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকারকে। তারপরেও কোন কাজ হয় নি।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এইভাবে প্রকাশ্যে ভারতীয় টাকা বেশি দামে বিক্রি আইনত দণ্ডনীয়। দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ এটি। এই ধরণের মামলায় ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশদ্রোহীতার মামলাও আনা যেতে পারে”।
ভারতের জাতীয় পতাকার মত ভারতের টাকাও দেশের গর্ব। আর দেশের গর্ব নিয়ে কেউ এইভাবে খেলা করতে পারে না। এটা মারাত্মক অপরাধ। তবে বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা কে বাঁধে সেটাই এখন দেখার।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।