এই মুহূর্তের সবথেকে বড় খবর; রাজ্যের আইপিএস ও আইএএস অফিসারেরা কাছেই ঘেষতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রীর! এমনকি নির্বাচন কমিশনের তোপে পড়ার আশঙ্কায়; মমতার কাছে ঘেঁষছেন না ডব্লিউবিসিএস অফিসাররাও। চরম চাপে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
২৩ তারিখটা কাটলেই বাঁচি; রাজ্যের অধিকাংশ আমলাদের এখন এটাই বক্তব্য। নির্বাচন কমিশনের তোপে পড়ে, ইতিমধ্যেই বাংলা ছাড়া হয়েছেন; রাজ্যের আইপিএস রাজীব কুমার। আরও লজ্জার, নির্বাচন কমিশনের তোপে পড়ে; সরতে হয়েছে আইএএস ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে।
আরও পড়ুনঃ রাজারহাটে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
আর এরপরেই রাজ্য প্রশাসনের দিক মাড়াচ্ছেন না আমলারা; এমনটাই খবর। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে হাবেভাবে আমলারা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, কোনরকমে ২৩ তারিখটা পেরলেই তাঁরা বাঁচেন।
চরম সঙ্কটে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর রাজ্য প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনের ভয়ে; রাজ্যের আইপিএস ও আইএএস অফিসারেরা; এড়িয়েই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শোনা যাচ্ছে ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশের আগে; রাজ্য পুলিশের বহু কর্তাই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর মুখোমুখি হতে চাইছেন না।
এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে; নির্বাচন কমিশনের অপসারণের ফলে রাজ্যের অনেক আমলাই চাপে রয়েছেন। এমনকি নবান্নে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে; “ভালোয় ভালোয় ২৩ তারিখটা কেটে গেলেই বাঁচি”।
চাকরি জীবনের শেষের দিকে এসে; কমিশনের তোপে পড়ে ক্যারিয়ারে দাগ ফেলতে চাইছেন না অনেক আমলারাই। এছাড়াও রাজ্যে যে গেরুয়া শিবির ভালো ফল করতে চলেছে; এমনটাই মনে করছেন অনেক আমলাই। ওনাদের মতে, এরাজ্যে একধাক্কায় বহু আসন বাড়তে চলেছে বিজেপির। এরপর যদি ২৩ মে জিতে বিজেপি সরকার গঠন করে; তাহলে কেন্দ্র থেকে অনেক চাপ সহ্য করতে হতে পারে আমলাদের।
আর সেই কারণেই এই শেষের কটা দিন; বিশেষ করে অন্তিম দফার নির্বাচনের দিনে দেখেশুনে চলেতে চাইছেন আমলারা। আর এই কারণেই রাজ্য পুলিশের অনেক সিনিয়ার অফিসারেরাই; তৃণমূল নেতা নেত্রীদের কথা কানে না নিয়ে নিজের মত কাজ করছেন। ওনারা কোন রকমেই এই রাজনৈতিক যুদ্ধের কারণে নিজেদের ক্যারিয়ারে কালি লাগাতে চাননা। আর এই কারণে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরেও।