লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, মোদী বিরোধী জোট অথবা নিজেদের অবস্থান নিয়েই যথেষ্ঠ সংকটে কংগ্রেস। বিজেপি হটানোর ডাক দিয়েও উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে জোট করতে ব্যর্থ হওয়া যেন সদ্য ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জয়ের সাফল্যকেও ম্লান করে দিচ্ছে। আর এর মধ্যেই গুজরাত বিধানসভা থেকে দুইজন কংগ্রেস বিধায়কের কংগ্রেস ত্যাগের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুনঃ মোদীর উদ্বোধন করা সার্কিট বেঞ্চের ফের উদ্বোধন মমতার
২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিগত ২০ বছরের তুলনায় সবথেকে ভালো ফলাফল করে কংগ্রেস। গুজরাত বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে ৭৭টিতে জয়লাভ করে কংগ্রেস। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপিই। কিন্তু অন্যান্যবারের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও তার সাফল্য ধরে রাখা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি জওহর ছাবদা কংগ্রেসের ৪বারের জয়ী বিধায়ক, বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অন্য এক বিধায়ক পরশতম সাবারিয়াও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সাবারিয়ার বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল এবং তিনি সদ্য কোর্টের রায়ে জামিন পেয়েছেন। ভয় দেখিয়েই তাকে বিজেপিতে টানা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল, জল্পনা তুঙ্গে
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গুজরাতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সংকটে ভুগছে, যার ফলে কংগ্রেসের জয়ী বিধায়করা নিজেদের দলের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। মুখে সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা না করলেও একজন দলত্যাগী বিধায়ক জানিয়েছেন, তার এলাকায় আরও বেশি উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ফাঁসি হওয়া জঙ্গি পুত্রের ভারতের সেরা ডাক্তার হবার স্বপ্ন
বিজেপি সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগেই আরও কিছু বিধায়ক বিজেপিতে সামিল হবেন। গুজরাতে কংগ্রেসের অন্যতম বড় মুখ দলিত নেতা অল্পেশ ঠাকুরও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। অল্পেশ ঠাকুর নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই তিনি অনুন্নয়নের অভিযোগ এনেছেন।
আরও পড়ুনঃবৈশাখীর হাত ধরে বিজেপিতে শোভন, জল্পনা তুঙ্গে
বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেও লোকসভার আগে এইভাবে দলে ভাঙন ধরবে তা আশা করেনি রাহুলের কংগ্রেস। তবে এতে ভোটের ফলে কোন প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে, লোকসভা ভোটের আগেই আরও বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
গত ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গুজরাত থেকে একটিও আসন পায়নি। এবারের লোকসভা ভোট সন্নিকটে। বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা ভালো ফলাফল করলেও যেভাবে ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেই একের পর এক বিধায়ক দলত্যাগ করছেন, তাতে আবার ধরাশায়ী হতে পারে কংগ্রেস, সাথে নিজভূমে পুনরায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ মরে গিয়েও তৃণমূল বিজেপির হাত থেকে রেহাই পেলেন না বড়মা
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায় ভারতীয় সেনার টুপি
আরও পড়ুনঃ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল মোদীর ১০০ কোটির বাংলো
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।