অর্জুন সিংহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক। শুক্রবার অর্জুন সিংহের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী হল, এমনটাই দাবী করছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেত্রী লকেটের বাড়ি ভাংচুর, বিজেপি তৃণমূল তরজা
এদিন অর্জুন সিংহের সাথে সাক্ষাৎ করে বিজেপিতে নাম লেখান ৪ অর্জুন অনুগামী কাউন্সিলর। হালিশহর পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান দেবাশিস দত্ত, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল সাহা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহাদেব বিশ্বাস এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা বিশ্বাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে নাম লেখান।
আরও পড়ুনঃ দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী
এদিকে বিকেলে কাঁচরাপাড়ায় মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সুদীপ্ত দাস। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। থানা এবং পুলিশ তৃণমূলের দখলে চলে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের দালালি করছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ভোটের পরেও অশান্ত চোপড়ায় গুলির লড়াই, গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র
পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনের সময় তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে এই যুবনেতা জানান। স্থানীয় অধিবাসীরা কোনো বিপদে পড়লে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যায়না বলে জানান তিনি। এই সব কারণেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলেন বলেই জানালেন তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সুদীপ্ত দাস।
আরও পড়ুনঃ নদিয়ায় ইভিএমের দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসার নিখোঁজ, ভোটকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য
এদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই পুলিশ সুদীপ্তকে তাড়া করে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যতক্ষণ কেউ তৃণমূলে রয়েছে, ততক্ষণ সে ভালো। তৃণমূল ছেড়ে দিলেই তার বিরুদ্ধে কেস করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ভোটের দায়িত্বে থাকা অর্ণব রায়ের উধাও হওয়া ফিরিয়ে এনেছে রাজকুমার রায়ের স্মৃতি
অর্জুন সিং আরও বলেন, “তৃণমূলের জনসমর্থন নেই। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে তারা দিশেহারা হয়ে হতাশাজনক অবস্থা থেকে প্রতিহিংসার পথ বেছে নিচ্ছে”। এর ফলে ব্যারাকপুরে তাঁর জেতার সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলেই জানান সদ্য তৃণমূল ত্যাগি এই নেতা ও ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় আবার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার
তবে এই কাউন্সিলর ও কর্মীদের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব একদম গুরুত্ব দিতে রাজি নন। জেলার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, “দলের প্রতীক পেয়ে এরা কাউন্সিলর হয়েছিলেন। এদের নিজের কোন ভুমিকাই নেই। বেনো জল যত বেরিয়ে যায় ততই ভাল”।
আরও পড়ুনঃ মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।