সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা; তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক-সহ গ্রেফতার ৩। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ; কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও চাকরি প্রার্থীকে ভুয়ো চাকরির প্রতারণা পত্র ধরিয়ে দিয়ে; আবার কখনও লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়া এসব হামেশাই শোনা যায়। এবার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল; তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধেই।
সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা; রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার হাতে গ্রেফতার; নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল-সহ তিনজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির একটি হোটেল থেকে; গ্রেফতার করা হয় তাদের। ধৃতদের শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, অনেকের কাছ থেকে; কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। তাঁর বিধানসভা এলাকার লোকেরাই; এই নিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এরপরই এই মামলায় নদিয়া পুলিশ গ্রেফতার করল; বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তার দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে।
অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক থাকাকালীন; তাপস সাহা কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন সাধারণ মানুষের থেকে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই টাকা নিলেও; বিধায়ক প্রতিশ্রুতি রাখেননি। এই আবহে যাঁরা টাকা দিয়েছেন; তাঁরা তাঁদের টাকা ফেরত চান বিধায়কের কাছ থেকে। তবে বিধায়ক টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তেহট্ট এবং করিমপুরেও; একই ধরনের ঘটনা ঘটান বিধায়ক। মোট তিন জায়গা থেকে সব মিলিয়ে তাপস সাহা ১৬ কোটি টাকা তোলেন; বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করেছেন; বিধায়ক তাপস সাহা। এমনকি আপ্ত-সহায়কের সঙ্গে; তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না বলে জানান তাপস সাহা। শুধু তাই নয়, তাঁর চ্যালেঞ্জ, অভিযোগ প্রমাণিত হলে; তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এদিকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠতেই গা ঢাকা দিয়েছিল; প্রবীর, শ্যামল, সুনীলরা। এদিকে পুলিশ এদের খোঁজে; তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছিল। শুক্রবার রাতে রায়দিঘিতে তল্লাশি চালিয়ে; এই তিনজনকে গ্রেফতার করে দুর্নীতিদমন শাখা।