জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতোর উপর কড়া নজর নির্বাচন কমিশনের। ভোটের কোন কাজে বা কোনভাবেই সে যাতে যুক্ত থাকতে না পারে সে জন্য তার উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশ বিরোধী মাওবাদী কার্যকলাপে অংশ নিয়ে যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছে সে। আর তাকে নিয়েই এখন চিন্তায় নির্বাচন কমিশন।
গতকাল বৃহস্পতিবারই প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে ছত্রধর মাহাতো। তবে তার গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা থাকলেও, সে এখন মূলত রাজনৈতিক বন্দি। ভোটের সময় তার এই প্যারোলে মুক্তি পাওয়া জঙ্গলমহলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুনঃ ঘোষণার আগেই জানা গেল বাংলায় ৪২জন বিজেপি প্রার্থীর নাম
সেই সূত্রেই তার উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, “আমরা নজর রাখছি সবার ওপরেই”। সব বিষয়েই নির্বাচন কমিশনের নজর আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসদমনে মোদীর সমকক্ষ ছিলেন না মনমোহন, বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তি শীলা দীক্ষিতের
মা অসুস্থ। সেই কারণ দেখিয়ে ১০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে ছত্রধর মাহাতো। এমনিতে সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। কিন্তু এর মাঝে বিভিন্ন কারণে পাঁচবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে এক সময় জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির এই নেতা।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়
সাধারণভাবে নির্বাচনের সময় কোন বন্দিকে প্যারোলে মুক্ত করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। বিচার ব্যবস্থা চলে নিজের গতিতেই। সেই সূত্রেই প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে ছত্রধর মাহাতো। তবে জঙ্গলমহলে তার উপস্থিতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়টিই মাথায় রাখছে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
প্যারোলে মুক্ত থাকার সময় কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না ছত্রধর। তবে সে যদি রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে কোথাও, আর সেটা যদি কমিশনের নজরে আসে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়া কি হতে চলেছে বাংলার প্রথম বিজেপি পরিচালিত পুরসভা
বলাই যায় ভোটের মুখে ছত্রধর মাহাতোর প্যারোলে মুক্তি পাওয়াটা খুব একটা স্বস্তিতে রাখছে না নির্বাচন কমিশনকে। চিন্তায় রাখছে রাজ্যের শাসক দলকেও। কারণ বিরোধী থাকাকালিন এই ছত্রধর মাহাতোকেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যবহার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও তুলেছে বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনের হাত ধরে বারাকপুর লোকসভা ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি
আরও পড়ুনঃ অর্জুনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, দীনেশ ত্রিবেদীকে ২ লাখ ভোট জেতাব
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।