রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা তৈরি করলেন এক বিশেষ অ্যাপ। ভোটের দিন বুথের ভেতর ও বাইরে যে কোনরকম অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা রুখতেই এই অ্যাপ তৈরি করেছেন তাঁরা। তাই রিগিংবাজরা এবার সাবধান। তার কারণ, আঙুলের এক ছোঁয়াতেই এক নিমেষে বুথের হাল হাকিকতের সম্পূর্ণ ছবি ফুটে উঠবে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের দফতরে।
আরও পড়ুনঃ প্রচারেই প্রার্থীকে মারধর বাংলায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় উঠছে প্রশ্ন
প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট কোড থাকছে। বুথের ভিতর এই অ্যাপটি কেবল মাত্র ব্যবহার করতে পারবেন প্রিসাইডিং অফিসার। কেবল মাত্র আঙুলের এক ছোঁয়াতেই বোঝা যাবে বুথের বর্তমান পরিস্থিতির চিত্র। বুথ স্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখার জন্য এই অ্যাপটি আনছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের দফতর।
আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে বিজেপি নেতার কনভয়ে ভয়ঙ্কর মাওবাদী হামলায় মৃত বিধায়ক সহ ছয়
ভোট কর্মীরা দিতে পারবেন প্রতি মুহূর্তের আপডেট, জানাতে পারবেন অভিযোগ। কেবলমাত্র এস এম এস বেসড ভোট মনিটরিং সিস্টেমের ওপর ভরসা রাখতে চাইছে না রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের কর্তারা। বহু আগে থেকেই চলছিল এই অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা। অনেক সময় দেখা গিয়েছে এস এম এস বেসড ভোট মনিটরিং সিস্টেম ১০০% কার্যকরী হয় না। ফলে ভোটের শতাংশের হিসাব আসতে অনেক সমস্যা হয়ে যায় অনেক সময়।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মহাজোটের ভরাডুবির আশঙ্কা, ইঙ্গিত সমীক্ষায়
সব থেকে বড় কথা এই অ্যাপ তৈরি করতে কোনো প্রফেশনাল সংস্থার সাহায্য নেয়নি রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের কর্তারা। নিজেদের পরিকল্পনা আর নিজেদের প্রযুক্তিতেই বানিয়ে ফেলেছেন এই অ্যাপ, যা এখন বাস্তব। যার নাম রাখা হয়েছে পোল ডে মনিটরিং অ্যাপ। তবে কেবলমাত্র এই একটা অ্যাপেই থেমে নেই নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর জীবনী নিয়ে ফিল্ম রিলিজ আটকানোর মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
নির্বাচন কমিশন এবার গুরুত্বপূর্ণ ৬টি অ্যাপ এর পাশাপাশি তাদের নিজেদের কাজ করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক আগে থেকেই। তবে সেই অ্যাপস গুলির নাম নির্বাচন কমিশন কোনমতেই সাধারণ মানুষকে জানাতে চায় না। তার কারণ সেই অ্যাপস গুলির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন চুপিসারেই তাদের নিজেদের কাজ সারতে চায়।
আরও পড়ুনঃ ৩৭০ ধারা বিলোপ হলে ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি ফারুক আবদুল্লাহর
সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট কি করে করানো যায় তা নিয়েই তৈরি হয়েছে কমিশনের নিজস্ব বেশ কিছু অ্যাপ। হাতে মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা তার পরেই শুরু হয়ে যাবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা নির্বাচন। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশনের অ্যাপস গুলি কতটা সুবিধা দিতে পারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে সক্ষম হয় নির্বাচন কমিশন সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ কেন গ্রেফতার করা হবে না, রাজীব কুমারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।