ভোটের মধ্যে এবার সুরাপ্রেমিদের চিন্তা বাড়াল নির্বাচন কমিশন। নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। এমনকি কড়া নজর রাখা হবে পুরোনো মদের দোকানগুলিতেও। মদ দিয়ে ভোট কেনার সব রাস্তা বন্ধ করতে চাইছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার দফতরের।
ভোটের সময় মদের ব্যবহার নিয়ে এবার বেশ কড়া কমিশন। নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব মদের দোকান বন্ধ রাখতে হবে, নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ এর ১লা জানুয়ারির পর থেকে যারা মদের দোকানের লাইসেন্স পেয়েছেন ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার দফতর। নির্দেশ পৌঁছে গেছে রাজ্য সরকারের কাছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, বাংলার অন্যতম গরিব প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
চলতি বছরে যেসব লাইসেন্স নতুন হয়েছে, সেই সব মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি মদ কেনা এবং ব্যবহারের উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য আবগারি দপ্তর কে। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেই সরাসরি রাজ্য আবগারি দপ্তর কে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, অর্জুনের ভাটপাড়ায় মদন
বেশি মদ একসঙ্গে কিনলেই তা নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন। বেশি মদ একসঙ্গে বিক্রি করাই যাবে না বলেই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এর আগে বাংলায় অনেক ভোটেই দেখা গেছে মদের লোভ দেখিয়ে ভোট কিনেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট কেনার অন্যতম হাতিয়ার ছিল দেশি বা বিদেশি মদ। বিদেশি মদের লোভ দেখিয়ে ভোট কেনার অনেক উদাহরণ সামনে এসেছে অতীতে। এবার রাজনৈতিক দলগুলির সেই হাতিয়ারকে ব্যর্থ করতে উদ্যোগী কমিশন।
আরও পড়ুনঃ বউকে না জানিয়েই কি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন, অফিসার উধাও রহস্যে সিআইডি
বৃহস্পতিবারের পর থেকেই একলটে বেশি মদ বিক্রি করবে না কোন দোকান। একলটে বেশি মদ বিক্রি করলেই তা তদন্ত করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। সেই মদ কি কারণে বা কোথায় ব্যবহার হল, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য আবগারি দপ্তর ও নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ৫ দিন আগে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় তৃনমুলের অস্ত্র ও বাইক মিছিল বীরভূমে
এই নির্দেশের ফলে, বড় পার্টি যারা করবেন বা বড় পিকনিক যারা করবেন, বা অন্য যে কোন অনুষ্ঠানে যারা একটু বেশি মদ কিনবেন, তারা যে সমস্যায় পড়বেন তা বলে দেওয়াই যায়। তবে মদের লোভ দেখিয়ে ভোট কেনা আটকাতে এই ব্যবস্থা নিতেই হত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই আর্থিক বছরেই বাংলায় মদ বিক্রি করে রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই বাংলায় বিজেপি সরকার, ভোটের পরেই ১২০ বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।