“এটা কি তোর বাপের স্টেশন” বলার দিন শেষ; এবার টাকা ফেললেই আস্ত একটা রেলস্টেশন আপনার নামে হতে চলেছেন। বিশ্বাস করছেন না তো? কিন্তু এটা গল্প হলেও সত্যি! যাত্রিভাড়া বৃদ্ধি না করে আয় বাড়ানোর জন্য; এবার ‘অন্য পথ’ বেছে নিল ইণ্ডিয়ান রেল। পূর্ব রেলের হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনের নামের সঙ্গে; এবার জুড়তে পারে বেসরকারি সংস্থার নাম। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দরপত্র বা টেন্ডার ডাকা হয়েছে বলেও রেল সূত্রে খবর। যদিও পুরনো নামে বদল ঘটলে, স্টেশনগুলির আগের ঐতিহ্য বহাল থাকবে কি না; তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যাত্রীদের উপর চাপ না দিয়েই; আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে চাইছে রেল। আর এর জন্য হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনে; এবার বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, কতকটা স্টেডিয়ামে স্পনসরের মতোই; স্টেশনের জন্যও ‘স্পনসরশিপ’ খোঁজার কাজ চলছে। এর জন্য, ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে।
মেট্রোর বেশ কয়েকটি স্টেশনের সঙ্গে; ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থার নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এবার একই পথে চলবে রেলও। এরপর থেকে হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনের নামের সঙ্গে; জুড়ে যাবে বেসরকারি কোনও সংস্থার নাম। ইউরোপে ফুটবল ক্লাবগুলির স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রে; এমনটা দেখা যায় প্রায়শই।
আরও পড়ুনঃ সিবিআই তদন্তে জর্জরিত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা, শুভেন্দুকে নবান্নে ডাকল রাজ্য সরকার
পূর্ব রেল সূত্রে দাবি, রেলযাত্রীদের পকেটে যাতে টান না পড়ে; সেই দিকে খেয়াল রাখতেই এই বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। ফলে সরাসরি টিকিটের দাম না বাড়িয়েও; আয় বাড়াতে পারবে রেল। একে বিকল্প পদ্ধতিতে, রাজস্ব আদায়ের উদাহরণ হিসাবেই; দেখছেন রেল কর্তৃপক্ষ। যাতে স্টেশনগুলির ‘কো-ব্র্যান্ডিং’ করা হবে; বলে জানানো হয়েছে। এর জেরে স্টেশনের নামের আগে বা পরে থাকবে, দরপত্রে বাছাই করা; বেসরকারি বা বিজ্ঞাপনী সংস্থা অথবা কোনও পণ্যের নাম।
এদিকে রেল স্টেশনগুলির ঐতিহ্য বহাল থাকা নিয়ে প্রশ্নে, রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে; ‘কো–ব্র্যান্ডিং’-এর জেরে কোনও স্টেশনের নামই; সরকারি-ভাবে পরিবর্তিত হবে না। ট্রেনের টিকিট, রিজার্ভেশন ব্যবস্থা, ওয়েবসাইট বা রুট ম্যাপে; স্টেশনের পুরোনো সরকারি নামই উল্লেখ করা থাকবে। যাত্রীদের জন্য ঘোষণার সময় ‘কো–ব্র্যান্ডিং’ করা; স্টেশনের নাম বলা হবে না। এই ‘কো-ব্র্যান্ডিং’ বিষয়টি; মোটের উপর বিজ্ঞাপনের মত হবে শুধুমাত্র।