দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’, তপতীর কৃতিত্ব চু’রি গেল সংস্কৃতির বাংলায়। দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’, এর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ভূমিকাই নেই। দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’র পিছনে রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ভুমিকাই নেই। রাজনীতিতে এটিকে বলে, অন্যের কৃতিত্ব নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া। এর পিছনে যিনি আছেন, তাঁর নাম তপতী গুহ ঠাকুরতা। কলকাতার দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’ পাওয়ায় পুরো কৃতিত্ব, গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতার। অথচ পুরো কৃতিত্ব নিয়ে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্ত।
কি জানিয়েছেন সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্ত? জানিয়েছেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেন গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা। ইউনেস্কোর ফর্ম-ফিলাপ থেকে দুর্গাপুজোর ভিডিও পাঠানো, মেল পাঠিয়ে সব জানানো, সবটাই করেছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিস ইন সোশ্যাল সায়েন্সের ডাইরেক্টর-প্রফেসর তপতী গুহ ঠাকুরতা। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রফেসরও ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি দুর্গা পুজো নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি থেকে সামান্য গ্রান্ট নিয়ে তিনি এই গবেষণা শুরু করেন। এরপর তিনি ইউনেস্কোর একটি ফর্ম ফিলাপ করেন। ২০টি ছবি ও ১টি ভিডিও দিয়ে তিনি, ইউনেস্কোর ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। তারপরেই, আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পায়, কলকাতার দুর্গা পুজো। যার পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তপতী গুহ ঠাকুরতার। হ্যাঁ, রেড রোডে কার্নিভ্যালের আয়োজন করার কৃতিত্ব অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের।