ভয়াবহ খরার প্রকোপে বাড়ছে খাবারহীন মৃত্যুযন্ত্রণা

572
ভয়াবহ খরায় প্রকপে বাড়ছে খাদ্যসহ মৃত্যু যন্ত্রণা /The News বাংলা
ভয়াবহ খরায় প্রকপে বাড়ছে খাদ্যসহ মৃত্যু যন্ত্রণা /The News বাংলা

ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে; জলের খোঁজে হাজার হাজার মানুষ অন্যত্র চলে যাওয়ায় জনশূন্য হতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের শত শত গ্রাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে; বিশেষত দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া সূত্রে রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা; রাজস্থানে ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অধিক। আর এটাই খরার প্রধান কারণ।

আরও পড়ুন জেহাদি শক্তির আক্রমনের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্তিত্বরক্ষার দাবিতে মিছিল

বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায় ২৫০ মাইল দক্ষিণে ব্যাপক জলশূন্যতায় প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা নিজেদের বসতি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে বিভিন্ন সূত্র বলছে; মহারাষ্ট্রের ২০ মাইল দূরবর্তী অঞ্চলের হাতকারওয়াদি নামক গ্রামটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে; ১০-১৫টি পরিবার ছাড়া প্রায় দু হাজার বাসিন্দা হয়েছে ঘরছাড়া।

আরও পড়ুন গণ ইস্তফা দিতে শুরু করলেন এনআরএস হাসপাতালের ডাক্তাররাও

পঙ্গু হতে চলেছে কৃষিভিত্তিক জীবিকা; ফসলের অভাবে মারা যাচ্ছে অজস্র গবাদি পশু। অভূতপূর্ব চলমান খরায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলোয় ভুট্টা; সয়া; তুলা; মিষ্টি চুন; ডাল ও বাদামের মতো প্রধান অর্থকরী ফসলগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন বিলুপ্তির আশঙ্কায় অন্তত ১০ লাখ প্রাণী ও বৃক্ষ প্রজাতি

সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন; বিশ্বের সর্বত্র এল নিনো নামের এক ধরনের শুষ্ক আবহাওয়া ও চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব দিনে দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তীব্র হচ্ছে; ভারত এই জলবায়ুর অন্যতম শিকার বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের

ভারতের মারাঠওয়াদা সবচেয়ে খরাপ্রবণ অঞ্চল; ক্রমবর্ধমান খরার কারণে গত পাঁচ বছরে এ অঞ্চলে ৪ হাজার ৭০০-এর বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন; এর মধ্যে গত বছরই আত্মহত্যা করেছেন ৯৪৭ কৃষক। রান্নাবান্না-কাপড় কাচা-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এমনকি পয়োনিষ্কাশনের জন্যও জলাভাব এ অঞ্চলে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে; তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে বলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। আগামীতে দেশ এসব প্রতিকূল আবহাওয়ার; আরও বেশি মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলাভাব কমাতে চৌকস সমাধান বের করার জন্য; সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন