ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য এক শান্ত নির্ঝঞ্ঝাট পূর্ণ; ঘোরার জায়গা হল মৌসুনী আইল্যান্ড। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একেবারে শেষপ্রান্তে; নদী আর সাগরের মিলনে মোহনার বিশুদ্ধ পরিবেশের আস্বাদ করার পরিসর। যেখানে গোটা সপ্তাহের ক্লান্তিকে কাটিয়ে উঠে; সপ্তাহের শেষে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো যায়।
সমুদ্রের এতো কাছাকাছি; ইট-কাঠে মোরা এই শহরতলী থেকে অনেকটা দূরে এই মৌসুনী আইল্যান্ড। আয়লা ঝড়ে বিদ্ধস্ত এক গ্রাম। তবে এখনো টিকে আছে বেশ কিছু মানুষ; হারিয়ে যায়নি তাদের আন্ততিকতা। দীঘা-পুরীর জন কোলাহলের মধ্যে যারা সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না; তারা যদি এক নির্ঝঞ্ঝাট পুর্ণ শান্ত সামুদ্রিক পরিবেশ পেতে চান; তাহলে অবশ্যই মৌসুনী আইল্যান্ডে ঘুরে আসুন। সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশ।
আরও পড়ুনঃ মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর ফের বহিরাগত হামলা
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে; নামখানা লোকাল ট্রেন ধরে চলে যেতে হবে নামখানা স্টেশনে। সেখান থেকে মটর ভ্যান করে; ঘাট অবধি পৌঁছতে হবে। হাতানিয়া দুয়ানিয়া নদী পাড় করে; হাঁটা পথে বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে। তারপর ম্যাজিক গাড়ি ধরে বাগডাঙ্গা ঘাট। সেখান থেকে নৌকা ধরে চেনাই নদী পার করতে হবে; বাগডাঙ্গা থেকে মৌসুনী ক্যাম্প আসতে হবে টোটো ধরে।
সমুদ্রের ধারে আছে ক্যাম্পে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ; আছে শৌচ ব্যবস্থা। গ্রামের মানুষদের হাতে রান্না করা ভালো খাদ্য ব্যবস্থা। ক্যাম্প ভাড়া করলে মাথাপিছু ১২০০ টাকায়; থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সমস্ত খরচ নিয়ে ১৫০০ টাকায় সপ্তাহের শেষে; ঘুরে আসার জন্য আদর্শ জায়গা এটি।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে এবার গণ ইস্তফা ডাক্তারদের
ব্যবস্থা আছে ফেসবুক অনলাইন বুকিং-এর। শীত কিংবা বর্ষাই মৌসুনী আইল্যান্ডের জন্য বেশি উপভোগ্য; তবে হালকা গরমেও ঘুরে আসা যায়। এক্ষেত্রে বর্ষায় গেলে উপোরি পাওনা হিসেবে থাকে; ইলিশ উৎসব। তবে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও কাজ করে এক্ষেত্রে; যেমন মদ্যপান করে সমুদ্রে নামা; অনৈতিক আচরণ ইত্যাদি আইনত বারণ।
সবকিছু মিলিয়ে ছোটো ছুটির সময়কে ভালো ভাবে কাটাতে; মৌসুনী আইল্যান্ডকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরো বেশি সাজিয়ে তুলেছে। পর্যটকেদের ভীড় বাড়ছে দিন দিন; তাই আর বেশি দেরি না করে এই বর্ষায় ঘুরে আসুন মৌসুনী আইল্যান্ড।