ভোটের উত্তাপের মুখে, কলকাতা শহরে এবার মানুষকে আক্রমণ করল ভয়ঙ্কর অ্যাডিনো ভাইরাস। সুত্রের খবর অনুযায়ী, সোয়ইন ফ্লুর মতই, এই ভাইরাসও মারাত্মক। এই রোগে ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু এবং প্রবীণরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। শহরের বেশ কয়েকটা সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ঘটিত রোগীর কারণে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলোতে বেডের আকাল বলে জানা যাচ্ছে।
এই রোগের উপসর্গ হল একটানা জ্বর, সর্দি, কাশি, চোখ জ্বালা করা, চোখ লাল হওয়া, ডায়রিয়া। এই রোগের কারনে কানে এবং গলায় সংক্রমনও হয়। পরে ফুস্ফুসের সংক্রমনও দেখা যাচ্ছে। রোগীদের মধ্যে অদ্ভুত ধরণের কিছু সংক্রমন লক্ষ্য করেছেন ডাক্তাররা। চিন্তায় পরেছেন তাঁরাও।
ইতিমধ্যেই, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকরা এই ভাইরাসের কবলে পরে প্রাণ হারিয়েছেন বলেই বেসরকারি সূত্রে খবর। ডাক্তার এবং হাসপাতাল সুত্রে জানা যাচ্ছে, এই রোগের লক্ষণ কিছুটা সোয়াইন ফ্লুয়ের মতই। আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য এই ভাইরাস যে সোয়াইন ফ্লুয়ের ভাইরাসের থেকে আলাদা, তা বোঝা গেলেও, তার কোন ওষুধ আপাতত নেই।
অ্যাডিনো ভাইরাস আগে ছড়াতো শৌচাগার থেকে। তবে এখন সেটা ছড়াচ্ছে ভীড় থেকে। অ্যাডিনো ভাইরাসের জীবাণু সংক্রামক, তাই রুগিদের থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানুয়ারী থেকে সোয়াইন ফ্লুর কবলে পরেছিল শহরের বহু মানুষ। এখন অ্যাডিনো ভাইরাসের কারনে এসেছে নতুন বিপদ। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, তাঁদের কাছে খবর আছে। তবে এখনই আতঙ্কের কোন কারণ নেই বলেই জানান হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দফতর এর মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে খবর এসেছে, আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি”। তবে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ধরণের উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারদের কাছে ভিড় জমছে।
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশ ছোঁয়াচে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।