তীব্র অস্বস্তিতে পড়লেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলের নেতাদের ক্রমাগত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চাওয়ার দাবিতে লজ্জিত হয়ে দল ছাড়লেন বিহারের প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বিনোদ শর্মা। কংগ্রেসে ছাড়ার কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, “এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইছেন নেতারা, তাই লজ্জায় দল ছাড়লাম”। শনিবারই বিনোদ শর্মা পদত্যাগ ও দলত্যাগের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন দিল্লিতে কংগ্রেস দফতরে।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীকে ‘দেশ ও দলের পিতা’ বলল দক্ষিনের জোটসঙ্গী এআইএডিএমকে
পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হানার পর প্রত্যাঘাতের জন্য গোটা দেশের মানুষের তরফ থেকে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে। চাপ আসে সেনার তরফ থেকেও। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বালাকোট সহ তিনটি জায়গায় সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়। কিন্তু বিশ্বাস করেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ শহর কলকাতায় ১০০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার
এরপরেই এয়ার স্ট্রাইকের প্রমান ও মৃত সন্ত্রাসবাদীদের পরিসংখ্যান নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক প্রমান উপস্থাপনের জন্য কেন্দ্রের ওপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি করে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুনঃ গুজরাতে বেহাল দশা কংগ্রেসের, বিজেপিতে দুই বিধায়ক
এয়ার স্ট্রাইকে মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান চেয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ ও নভজ্যোত সিং সিধু। বায়ুসেনার তরফ থেকে বারবার লক্ষ্যে আঘাত হানার কথা স্বীকার করা হলেও তাতে রাজনীতি থামেনি। উল্টে পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা সিধু প্রশ্ন করেন, “আদৌ কোনও জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে নাকি বায়ুসেনা শুধু গাছ উপড়ে ফেলে চলে এসেছে”।
আরও পড়ুনঃ মোদীর উদ্বোধন করা সার্কিট বেঞ্চের ফের উদ্বোধন মমতার
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ৯ই মার্চ সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রাহুল গান্ধীকে পদত্যাগ পত্র পাঠান বিহারের প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মা। পদত্যাগ পত্রে তিনি জানান, যেভাবে কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমান চেয়ে রাজনীতি করছেন, তাতে তিনি লজ্জিত। তিনি কংগ্রেস নেতাদের এই ধরনের কর্মকান্ডকে লজ্জাজনক ও শিশুসুলভ বলেও মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
বিনোদ শর্মা আরও মন্তব্য করেন, এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কত সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের স্বার্থ দলেরও উপরে থাকা উচিৎ বলে তিনি পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন। দলের নেতার এভাবে পদত্যাগে স্বাভাবিকভাবেই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে এবং আসন্ন লোকসভা ভোটেও তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায় ভারতীয় সেনার টুপি
এর ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমান চেয়ে কংগ্রেসের আন্দোলন জোর ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কেউ দল ছাড়তেই পারেন তার জন্য রাজনৈতিক ইস্যু মিথ্যা হয়ে যায় না। বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনাকে রাজনীতির থেকে দেশ আগে বলে রাজনৈতিক উদাহরণ বলে তুলে ধরা হয়েছে।
পড়ুন প্রথম পর্বঃ শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী
পড়ুন তৃতীয় পর্বঃ শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।