লোকসভা ফলের পরেই কর্ণাটকে; ভাঙনের মুখে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার। ১০ই জুনের পরেই ভাঙতে চলেছে; কর্ণাটকের কংগ্রেস ও জেডিএসের জোট সরকার; কংগ্রেস সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা কেএন রঞ্জন্না সোমবার জানিয়েছেন; কংগ্রেসের জেডিএসের অশুভ জোট; ১০ই জুনের অধিক সময় ধরে চলার কোনও সম্ভাবনা নেই।
কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জি পরমেশ্বরকে; তুমকুরু লোকসভা কেন্দ্রে হারের জন্য দায়ী করেন কেএন রঞ্জন্না। তুমকুরু কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বাসবরাজের কাছে; পরাজিত হয়েছেন জেডিএস সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া।
কংগ্রেস নেতা কেএন রঞ্জন্না জানিয়েছেন; ৩০শে মে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া অবধি কোনও রকমে এই জোট সরকারের স্থায়িত্ব টিকে থাকবে। কর্ণাটকে জোট সরকারের পতন হলে; উপ মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের আর মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ চাপে পড়ে সৌজন্যের বার্তা নিয়ে মোদীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে মমতা
রবিবারই বিজেপি নেতা এসএন কৃষ্ণর বাসভবনে গিয়ে; বিজেপি নেতা আর অশোকের সাথে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি এবং সুধাকর। যদিও কংগ্রেস নেতারা এটাকে; নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার বলে ব্যক্ত করেছেন।
এর আগেই গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পরই; একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে অপারগ হয় বিজেপি; কংগ্রেস এবং জেডিএস। নির্বাচনী প্রচারে জেডিএস এবং বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করলেও; ভোটের ফলাফল বেরোতেই সরকার গড়তে মরিয়া কংগ্রেস; জেডিএস সুপ্রিমো দেবগৌড়ার পুত্র কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেয়।
এরপরেই কর্ণাটকে ক্ষমতায় বসে; কংগ্রেস জেডিএসের জোট সরকার। প্রথম থেকেই জোটে ভাঙন ধরাতে তৎপর ছিল বিজেপি। টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগও তোলা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে; যাকে অপারেশন লোটাস নাম দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি বরাবর সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে জোটের জটিলতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ায়; সরকার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে কুমারস্বামীর পক্ষেও।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে; ২৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৫ টিই দখল করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় জনসমর্থন হারিয়ে কংগ্রেস এবং জেডিএসের পক্ষে রাজ্যে সরকার; ধরে রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে সবদিকেই এখন; গেরুয়া শিবিরের জয় জয়কার। সরকার কবে ভাঙে; সেই দিকেই তাকিয়ে বিজেপি।