ফের নবান্নেই জুনিয়র ডাক্তারদের; সোমবার বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজ্যের ১৪ টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৮ জন প্রতিনিধিকে; সোমবার দুপুর ৩ টের সময় নবান্নে ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তাব পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে। তাঁরা কি মানবেন মমতার এই সিদ্ধান্ত? মানলে কালই সমাধান হবে; বাংলায় চিকিৎসা সংকট এর।
বাংলায় চিকিৎসা সংকট; কোথায় বৈঠক করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা? হ্যাঁ, বৈঠক ঠিক করার দায়িত্ব মমতাকেই দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তাররা। রবিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে; মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চাইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুনঃ কাজে যোগ দিতে কোন জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজী আন্দোলনকারীরা। তবে নবান্নে নয়। প্রকাশ্যে হোক সেই আলোচনা; এমনটাই চাইছেন তাঁরা। কবে কোথায় আলোচনা হবে; সেই বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী; জিবি শেষে একথাই জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
পর পর দুদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে; হাজির হননি আন্দোনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়; নবান্নে কোনও আলোচনা হবে না। এনআরএসেই আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সেখানে যেতে নারাজ।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে রিপোর্ট তলব করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
মুখ্যমন্ত্রী গতকালই বলেছিলেন; প্রয়োজনে রাজ্যপাল ও রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন আন্দোলনকারীরা৷ এদিন আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তাররা জানান; তাঁরা কাজে যোগ দিতে চান। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও; বৈঠকে বসতে চান তাঁরা। তবে সেই আলোচনা হতে হবে, মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে; প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় চিকিৎসা সংকট, বৈঠকের জায়গা ঠিক করতে মমতাকেই দায়িত্ব ডাক্তারদের
সেই জায়গা মুখ্যমন্ত্রীকেই ঠিক করতে হবে; বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জিবি বৈঠকে রাজভবন, এনআরএস এবং নিরপেক্ষ স্থানের কথাও উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতের পর ফের রবিবার সকালে এনআরএস-এর অডিটোরিয়ামে; জিবি বৈঠক বসে জুনিয়র ডাক্তারদের।
মমতার ফের নবান্ন বৈঠকের প্রস্তাব; জুনিয়র ডাক্তাররা মেনে নেন কিনা সেটাই এখন দেখার। কারণ নবান্নে বৈঠক হবে নে; এটা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। ফের সেই নবান্নেই বৈঠকে ডাক্তারদের ডাকলেন মমতা। আবার বৈঠকে বসবেন ডাক্তাররা। আবার কি না বলেই দেবেন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।