দার্জিলিং পুরসভা ভাঙলেন মমতা, বিরোধিতায় পাহাড়ের সব দল

428
দার্জিলিং পুরসভা ভাঙলেন মমতা, বিরোধিতায় পাহাড়ের সব দল/The News বাংলা
দার্জিলিং পুরসভা ভাঙলেন মমতা, বিরোধিতায় পাহাড়ের সব দল/The News বাংলা

দার্জিলিং পুরসভাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। ২০১৭ সালে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন হয়েছিল। সেই হিসেবে ২০২২ সাল পর্যন্ত পুরসভা চলার কথা। কিন্তু দু’বছরের মাথায় পুরবোর্ড ভেঙে দিয়ে; পুর-প্রশাসক বসানোর নির্দেশিকা পেশ করেন রাজ্য সরকার। এই ঘটনার তীব্র বিরোধীতা করেন শিলিগুড়ির বিধায়ক; তথা মেয়র সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।

দার্জিলিঙের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন; “সরকারি নির্দেশ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে; পুর প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক ময়ূরী বসুকে। প্রশাসক বসানোর এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে; পৌরসভার আইনকে তুলে ধরলেন শিলিগুড়ি পুর নিগম মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুনঃ পার্ক সার্কাস খিদিরপুরে বিনা হেলমেটের বাইক বাহিনী ঘিরে পুলিশের উপর ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের

পুরসভার আইন তুলে ধরে অশোক বাবু সাফ জানিয়েছেন; রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা বেআইনি; কোনো বৈধতা নেই। কোন নির্বাচিত পৌরসভাকে এভাবে ভেঙে দিতে পারেনা। পুরসভার আইন অনুযায়ী ৪৩১ নং ধারায় সাফ লেখা আছে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে; তার মেয়াদ যদি আড়াই বছর থাকে তাহলে পুনরায় ভোটের মেয়াদও আড়াই বছরই থাকবে। কোনমতেই এভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা যায় না পুরসভাকে।

দার্জিলিং পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর শুধুমাত্র বিজেপি তে যোগদান করেছে বলেই এভাবে কোন নির্বাচিত পুরসভাকে নিষ্ক্রিয় করে প্রশাসন নিয়োগ করা যায়না। রাজ্যের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাপের সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রীও।

আরও পড়ুনঃ টুইট বিতর্কে আবার জড়ালেন তসলিমা নাসরিন

দিনহাটা; মেটলিগঞ্জ; হলদিবাড়ি; ডালখোলা; মুর্শিদাবাদ; কালিয়াগঞ্জ সহ আরো যেসব বামেদের পুরসভা রাতারাতি ভেঙে তৃণমূলের দখলে চলে গেল সেক্ষেত্রে এই নিয়ম বিধি লাগু হলনা কেন? এই প্রশ্ন করছেন অশোক বাবু। এর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল বামেরা।

গত ২৯ মে দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ১৭ জন কাউন্সিলর। পরবর্তীতে তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে সংখ্যার হিসেবে পুরসভায় পাল্লা ভারী এখন বিজেপির। রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানতেই পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে হৈচৈ শুরু হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছেন বিজেপি ও বিমলপন্থী মোর্চা নেতৃত্ব।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন