বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন অজয় নায়েক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর বিশেষ পর্যবেক্ষক জানিয়ে দিলেন, বীরভূমেও নির্বাচনে সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাৎ রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না কোনও বুথের।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর বেরিয়ে অজয় নায়েক বলেন, “বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোটের দিন কারচুপি করতে পারে শাসক দল। এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গেও সুরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপারে কথা বলেছি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই জেলায় ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করা হবে”।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ৫ দিন আগে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় তৃনমুলের অস্ত্র ও বাইক মিছিল বীরভূমে
বিশেষ পর্যবেক্ষকের এই সিদ্ধান্তের পর বীরভূমের এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, “প্রথম তিন দফার ভোটে ভালো কাজ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সে সব বুথে রাজ্য পুলিশ ছিল সেখানেই কারচুপি করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। আমরা বারবার কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে আবেদন করেছি। কমিশন জানিয়েছে চতুর্থ দফার ভোটে ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে”।
অর্ণব উধাও রহস্যে আরও পড়ুনঃ ভোটের দায়িত্বে থাকা অর্ণব রায়ের উধাও হওয়া ফিরিয়ে এনেছে রাজকুমার রায়ের স্মৃতি
“তৃণমূল জানে বীরভূমের দুটি লোকসভার বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় ও অনুপম হাজরা কোনও কাজ করেননি এই জেলার জন্য। তাই এবার বীরভূম জেলার লোক বিজেপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন। আমরা বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে জানিয়েছিলাম, তৃণমূল ভোট লুঠ করার চেষ্টা করতে পারে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি”। দাবি কংগ্রেস সিপিএম বিজেপির।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে অনুব্রতর বীরভূম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন
এই ব্যপারে সিউড়ি পুরসভার তৃনমূলের উপ পৌরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাউ বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়ে দিয়েছেন, যত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক না কেন, বিজেপি কিছুই করতে পারবে না। কারণ মানুষ ভোট দেবেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়। আর মানুষ জানেন, তৃণমূল গত পাঁচ বছরে রাজ্যের কত উন্নয়ন করেছেন। তাই ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলেও জয় আমাদেরই হবে”।
আরও পড়ুনঃ সাত দিন পরেও খোঁজ নেই ভোটের নোডাল অফিসার অর্ণব রায়ের, রহস্য আরও জটিল
চতুর্থ দফায় আরও বেশি অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। অর্থাৎ আধাসেনার পরিমাণ আরও বাড়ানো হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও হিংসার ঘটনায় এই জেলা ছিল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম। পাড়ুই, লাভপুর, সাঁইথিয়া, মহম্মদবাজার, ইলামবাজার, বোলপুর-সহ বীরভূমের বেশিরভাগ এলাকাতেই সংঘর্ষ হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই মমতার সিনেমা আটকে দিল নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের কাছে সে সবের রিপোর্ট রয়েছে। আর তাই লোকসভার আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইলেন না কমিশনের। বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ বুথে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।