পুলিশি গাফিলতিতে দেড় মাস ধরে অকেজো বিদ্যাসাগর কলেজের সিসিটিভি

601
পুলিশি গাফিলতিতে দেড় মাস ধরে অকেজো বিদ্যাসাগর কলেজের সিসিটিভি/The News বাংলা
পুলিশি গাফিলতিতে দেড় মাস ধরে অকেজো বিদ্যাসাগর কলেজের সিসিটিভি/The News বাংলা

অমিত শাহের রোডশোতে ধুন্ধুমার; সরগরম রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি। মঙ্গলবার অমিত শাহের রোডশো ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়; বিদ্যাসাগর কলেজ চত্ত্বর। পরষ্পরের ওপর দোষারোপ করে ভিডিও প্রকাশ করেছে; তৃণমূল এবং বিজেপি।

ঘটনার সময় ওই চত্ত্বরে উপস্থিত ব্যক্তিদের; মোবাইলে তোলা ভিডিওকে হাতিয়ার করেছে দুই দলই। কিন্তু এই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যেত; কলেজ ক্যাম্পাসে বসানো সিসিটিভি ফুটেজে। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে অচল কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরা। সৌজন্যে কলকাতা পুলিশ।

বিদ্যাসাগরদের মূর্তিটি যে ঘরে রাখা ছিল; তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট পেরিয়ে কলেজ বিল্ডিংয়ের আরও দুটি গেট পেরিয়ে; ভেতরের একটি ঘরে রাখা ছিল। ওই ঘরেই ভেঙে ফেলা মূর্তির ওপরের দিকে লেখা রয়েছে, “আপনি সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছেন”।

এই অবস্থায় মূল দোষীকে চিহ্নিত করতে; একমাত্র ভরসা ছিল সিসিটিভি। কিন্তু সেই সিসিটিভিই অকেজো; বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, মাসখানেক আগে কলেজেরই একটি ঘটনার তদন্তে নেমে; আমহার্স্ট থানা থেকে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক চেয়ে পাঠানো হয়।

এরপরে ওই হার্ডডিস্ক আর ফেরত আসেনি বলে; সিসিটিভিও অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এখানেই কলেজ কর্তৃপক্ষের এই দাবি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দুই দুই মিলে চার না হওয়ায় ধন্দে পড়েছেন অনেকেই।

ঘটনার পরেই বিদ্যাসাগর কলেজের এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে; বিজেপির ওপরেই হামলার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে। গতকাল বিজেপি সভাপতি ঘটনার ফুটেজ থেকে ছবি প্রকাশ করে দাবি করেন; বিজেপির শোভাযাত্রার ওপর কলেজের ভেতর থেকে ঢিল ছোড়া হয়েছিল।

পাল্টা বিজেপি সমর্থকরাও বাইরে থেকে প্রত্যাঘাত করে। কিন্তু ওই মুহূর্তে কলেজের গেট বন্ধ ছিল, যার ফলে বিজেপি সমর্থকদের লোহার গেট পেরিয়ে ভেতরে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে কলেজের ভেতর থেকে এক ব্যক্তিকে বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি বাইরে নিয়ে আসতে দেখা যায়।

তারপর গেটের ভেতরেই গেরুয়া পোষাক পরিহিত কিছু ব্যক্তি মূর্তিটি কয়েক টুকরো করে দেয়। এই ভিডিওর ভিত্তিতে গেরুয়া শিবিরেই দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। কিন্তু কে আসল দোষী, তা প্রমানের জন্য কলেজের সিসিটিভি ফুটেজেই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সেই সমাধান সূত্র আপাতত অধরা। দোষীর নাম কলকাতা পুলিশ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন