বীরভূমের নানুরে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীকে লাঠি হাতে পাল্টা দিলেন গ্রামের মহিলারাই। তবে এঁরা বিজেপির নারী বাহিনী বলেই জানা গেছে। পাল্টা প্রতিরধে গ্রাম থেকে পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এক মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় নারী বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, পোলিং অফিসার-বাবুল কথা কাটাকাটি
বিজেপি সমর্থককে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল বীরভূমের নানুর। নানুরের ২১৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন এক বিজেপি সমর্থক। ওই সমর্থককে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর তারপরই লাঠি হাতে বেরিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারা। বুথের কাছে তৃণমূলের অস্থায়ী শিবিরে চলে ভাঙচুর। গ্রামে ঢুকে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতেও চড়াও হন মহিলারা।
আরও পড়ুনঃ রানীগঞ্জ ও চিত্তরঞ্জনের একাধিক বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী গ্রামে ঢুকে আক্রমণ করে ভোটারদের। যাতে তাঁরা ভোট দিতেই না যান। এরপরই দেখা যায়, গ্রাম থেকে লাঠি-বাঁশ নিয়ে বেরিয়ে আসেন মহিলারা। তৃণমূলের অস্থায়ী শিবির ভেঙে দেন তাঁরা। ওই অফিসেই চলছিল রান্নার আয়োজন। সে সব পুকুরে ফেলে দেন মরমুখী মহিলারা।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুরের জেমুয়া স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ
শুধু তাই নয়, গ্রামে ঢুকে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেও চড়াও হন মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সবাই বিজেপি করি। আমাদের সমর্থককে মেরেছে ওরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। কিন্তু পুলিসের সামনেই গ্রামের তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হন বিজেপির মহিলা সমর্থকরা। আতঙ্কিত তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে, গম্ভীর রসিকতা বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের
মহিলাদের মারমুখী ভঙ্গি দেখে এলাকা ছেড়ে পালান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে তাতেও রাগ কমে নি মহিলাদের। তাঁরা এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হন। পরে বিশাল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রথম এই ধরণের নারী বাহিনীর লাঠি হাতে প্রতিবাদ দেখল বাংলা। লাঠি হাতে তৃণমূলের গুণ্ডাদের উপর প্রমিলা বাহিনীর দাপট অবাক করেছে অনেককেই।
তবে তৃণমূলের তরফ থেকে পরিষ্কার এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের কোন গুন্ডা বাহিনী কোন ভোটারকে আটকায় নি বলেই দাবী তাদের। সব মিলিয়ে ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত নানুর।