ফের বিতর্কে প্রজ্ঞা ঠাকুর। সোমবার লোকসভায় শপথগ্রহন নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওইদিন বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা ঠাকুর; তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুর নাম যোগ করেন শপথ গ্রহনে। তখনই প্রতিবাদ শুরু হয় বিরোধী নেতানেত্রীদের মধ্যে।
সকলের দাবী; সঠিক নিয়ম মেনেই শপথ নিতে হবে সংসদে। বিজেপি সাংসদ ওইদিন; নিজের নামের সাথে যোগ করে দেন আধ্যাত্মিক গুরুর নাম; “স্বামী পূর্ণ চেতনানন্দ অবদেশানন্দ গিরি”।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ তিন জঙ্গি
বিরোধী দলের নেতারা দাবী করেন; ভূপালের সাংসদ তাঁর সঠিক নাম ব্যবহার করছেন না বলে। যদিও একই নাম; শপথের ফর্ম ফিলাপের সময় ব্যবহারের দাবী করেছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: লোকসভা শুরু, আশঙ্কা সত্যি করে গরহাজির মিমি ও নুসরাত
অস্থায়ী স্পিকার; বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র কুমার এই বিষয়ে রেকর্ড চেক করবেন; বলে আস্বস্ত করেন। তিনি বলেন কোনকিছু অসংগত থাকতে; তা বাদ দেওয়া হবে। শপথগ্রহন অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। শপথগ্রহনে দুবার বাধা পাওয়ার পর ঠাকুর সংস্কৃতে শপথ নেন। শেষে করেন “ভারত মাতা কি জয়” বলেই।
আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই, প্রধানমন্ত্রী মোদীতে মুগ্ধ বিরোধী সাংসদরা
২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর। লোকসভা নির্বাচনের শুরুর সময় থেকেই; একাধিক বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে নিয়ে। মহাত্মা গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে সম্পর্কে; তাঁর মন্তব্য বিতর্ক আরও বাড়ায়। পাশাপাশি ২৬/১১-র জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হওয়া হেমন্ত কারকারের মৃত্যুকে; তাঁরই অভিশাপ বলেন ঠাকুর। এই দু’টি মন্তব্য ঘিরে ওঠে বিতর্কের ঝড়।
আরও পড়ুন: সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা, অকপট মমতা
সপ্তদশ লোকসভার প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হয় সোমবার থেকে। ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরাও লোকসভার সাংসদের শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন; “সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা এবং সক্রিয় বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ”। “বিরোধী দলকে তাদের সংখ্যা সম্পর্কে বিরক্ত করতে হবে না। বিরোধী দল যে কথা বলে তা আমাদের কাছে মূল্যবান” বলে জানান মোদী।