মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে বিজেপি; শিবসেনা বি’দ্রোহী বিধায়করা পৌঁছে গেলেন মহারাষ্ট্র থেকে অসমে। টালমাটাল মহারাষ্ট্র সরকার। একঝাঁক বি’দ্রোহী বিধায়ককে নিয়ে, বেমালুম গায়েব হয়ে গেলেন; শিবসেনার বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। দলবদলের জল্পনা যখন তুঙ্গে; ঠিক তখনই বিধায়কদের নিয়ে গুজরাতের সুরাতে ঘাঁটি গাড়েন বিক্ষুব্ধ শিবসৈনিকরা। দিনভর চলে জারি টানটান নাটক; এরপর বি’দ্রোহী শিবসনিক বিধায়করা পৌঁছে গেলেন বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে; তার আঁচ বিধান পরিষদের নির্বাচনেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্রস-ভোটিংয়ের জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল; শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহা বিকাশ আগাড়ি। কিন্তু মঙ্গলবার আর বুধবার যা ঘটল, তারপর মহারাষ্ট্রে বড়সড় রদবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা; বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুনঃ দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ জোটের প্রার্থী ঘোষণা
বি’দ্রোহী একনাথ শিণ্ডে; শিবসেনার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে একজন। সূত্রের খবর, দলে তাঁর গুরুত্ব কমে যাওয়া নিয়ে; বহুদিন ধরে অসন্তুষ্ট ছিলেন থানের অঘোষিত ‘রাজা’। শিবসেনায় সঞ্জয় রাউতের গুরুত্ব বাড়াটাও; তাঁর ক্ষোভের অন্যতম কারণ। শিণ্ডের শিবিরের দাবি, তাঁর সঙ্গে অন্তত ২২ জন শিবসেনা বিধায়ক আছেন; আরও জনা পাঁচেক কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর শিবিরে যোগ দেবেন। সবাই বিজেপি যোগ দিলে; মহারাষ্ট্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গড়বে বিজেপিই।
আরও পড়ুনঃ প্রাক্তন বিজেপি নেতাকেই বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড় করালেন মমতা ও বিরোধীরা
একনাথ শিণ্ডের বিদ্রোহের পরে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মঙ্গলবারই; দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। তাতে শিবসেনার বিধায়কদের; একটা বড় অংশই অনুপস্থিত ছিল। ফলে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়ে শিবসেনা শিবিরে। তাতে আত’ঙ্কিত না হয়ে, পাল্টা শিণ্ডের বিরুদ্ধে; পদক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে। বি’দ্রোহী নেতাকে বিধানসভায় দলের পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে; তার জায়গায় অজয় চৌধুরীকে করেছেন।
শিণ্ডে আবার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আমরা শিবসৈনিক, বাল ঠাকরের অনুগামী। উনি আমাদের হিন্দুত্ব শিখিয়েছেন। ঠাকরের আদর্শ আমাদের কখনও প্রতারণার মাধ্যমে; ক্ষমতায় আসতে শেখায়নি”। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আসনসংখ্যা ২৮৮; কিন্তু শিবসেনার বিধায়ক রমেশ লতকের মৃত্যু হওয়ায় সংখ্যাটি এখন ২৮৭। ফলে এই মুহূর্তে আস্থা ভোট হলে; ক্ষমতায় ফিরতে শাসকজোটকে ১৪৪টি আসন জিততে হবে।