বাংলা ফিল্মের জনপ্রিয় পরিচালকের রহস্যমৃত্যু

6523
বাংলা ফিল্মের জনপ্রিয় পরিচালকের রহস্য মৃত্যু/ The News বাংলা
বাংলা ফিল্মের জনপ্রিয় পরিচালকের রহস্য মৃত্যু/ The News বাংলা

ফের কি ‘মি টু মুভমেন্ট’ এর বলি? ২০১৮ সালে ‘মি টু মুভমেন্ট’ হওয়ার পর, অনেক অভিনেতা এবং পরিচালকের নামে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এইবার আবারও নিষ্ঠা জৈন নামক এক চিত্র পরিচালক তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া একটি যৌন হেনস্থার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে। কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রপরিচালক অর্ঘ্য বসুর নাম উঠে আসে এই পোস্টে। সেই চিত্রপরিচালক অর্ঘ্য বসুরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের কোপে এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

১লা মার্চ ৪৮ বছর বয়সী এই চিত্র পরিচালকের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় তার সন্তোষপুরের ফ্ল্যাটে। অর্ঘ্য বসু ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশান ইন্সিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং একজন জনপ্রিয় ডকুমেনটারি চিত্র পরিচালক ছিলেন। এবার সেই রহস্যমৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। যদিও প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যা বলেই জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ সারদা চিটফান্ড মামলায় রাজীব কুমারকে ভয়ঙ্কর বিপদে ফেললেন কুণাল ঘোষ

২০১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ছাত্রী রায়া সরকার একটি লিস্ট তৈরি করে। সেই লিস্টে রায়া এমন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের নাম প্রকাশ করে যাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গ্রেট ব্রিটেনের হাজার হাজার মহিলা রায়া কে তাদের নির্যাতনকারিদের নাম পাঠায়। সেই লিস্ট ২০১৭ সালের ২৭শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুনঃ বিধায়ক খুনে রাম নেতাকে বাঁচাতে আসরে বাম নেতা

এই লিস্টের মধ্যে কিছুদিন আগে নিষ্ঠা জৈন যোগ করে অর্ঘ্য বসুর নাম। জৈন এবং বসু দুজনই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশান ইন্সিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফ টি টি আই)এর প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী। অর্ঘ্য বসু পরে এই ইন্সিটিউটের অধ্যাপক হন। ফেসবুক পোস্টে নিষ্ঠা জানান অর্ঘ্য বসুর সহপাঠিনী হিসেবে তিনি বসুর হাতে হেনস্থা হন। এই পোস্ট ফেসবুকে আসার পরেই তুমুল ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের সরাসরি সেনাবাহিনীতে নিচ্ছে ইমরানের পাকিস্তান

চিত্র পরিচালক নিষ্ঠা জৈন একটা ফেসবুক পোস্টে বসু কে আক্রমণ করে লেখে, “তোমার মনে আছে সেদিন রাতের পার্টির কথা যেখানে তুমি আমায় হেনস্থা করেছিল? আমি ছাড়াতে চাইলে আরও জাপটে ধরছিলে আমায়? মনে আছে কি ভাবে আমি ছুটে বেড়িয়ে গেছিলাম সেইদিন পার্টি থেকে?” তিনি আরও বলেন সহপাঠীর সঙ্গে যদি সে এইরকম নংরা আচরণ করতে পারে, তবে ছাত্রীদের সঙ্গে এই রকম ব্যাবহার করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ ভারত পাকিস্থান ও চীন এর হাতে সেনা ও অস্ত্র কত

এই অভিযোগ আসার পরেই ভেঙে পরে অর্ঘ্য। কোনরকম ভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাইনি। তারপরই শুক্রবার ভোরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ, সন্তোষপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বসু হতাশায়ে ভুগলেও এই আত্মহত্যার পর কোন সুইসিইড নোট পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সুত্রে খবর। প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, বসু বেশ কয়েকদিন ধরেই বিষন্ন ছিল।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।