বড়সড় চমক বাংলার জন্য। রাহুল গান্ধী নয়; লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা বাংলার অধীর চৌধুরী। লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের; নেতা হচ্ছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে অধীরকে ডেকে পাঠিয়ে; বৈঠক করেন সনিয়া গান্ধী। বৈঠক শেষে লোকসভায় গিয়ে সেই আসনটায় বসলেন অধীর; যে আসনে গত পাঁচ বছর বসেছিলেন; লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।
গত ২৯ মে প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে লোকসভার নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া; এগোচ্ছিল শম্বুকগতিতে। মাঝে শোনা যায়, কেরলের ওয়েনাড় থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি; রাহুল গান্ধীকেই বেছে নেওয়া হতে পরে নেতা হিসাবে। তবে এ দিন সেই ধোঁয়াশা সম্পূর্ণ ভাবে কাটিয়ে দিল জাতীয় কংগ্রেস।
লোকসভায় প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে গেলেও; দলনেতা নির্বাচন নিয়ে রবিবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সংসদে দলনেতা হওয়ার দৌড়ে; গত কয়েক দিনে শোনা গিয়েছে বেশ কয়েকটি নাম। এর মধ্যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও উঠে এসেছিল শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি ও কেরালার কংগ্রেস সভাপতি কে সুরেশের নাম। তবে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হন বহরমপুরের সাংসদই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সাল থেকে বহরমপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে; জিতে আসছেন অধীরবাবু। এ বারের লোকসভা ভোটেও; তাতে কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত পাঁচ বছর যিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন; সেই মল্লিকার্জুন খড়্গে এবার আর জিততে পারেননি। গোটা দেশে কংগ্রেসের আরও অনেক রথী-মহারথী হেরে গিয়েছেন।
তাই দীর্ঘ দিন ধরে লোকসভায় রয়েছেন; এমন সাংসদের সংখ্যা কংগ্রেস সংসদীয় দলে এবার হাতে গোনা। সনিয়া গাঁধী নিজে লোকসভায় রয়েছেন ২০ বছর ধরে। অধীর চৌধুরীও রয়েছেন ২০ বছর ধরে। আর রাহুল গাঁধী রয়েছেন ১৫ বছর। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে; কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে সনিয়াকেই বেছে নেওয়া হয়।
সেই বৈঠকে এ-ও স্থির হয় যে; লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা কে হবেন; সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত সনিয়া গাঁধীই নেবেন। সনিয়া গাঁধী সিদ্ধান্তটা মঙ্গলবার নিয়ে নিলেন। অধীর চৌধুরীকে মঙ্গলবার সকালে ডেকে পাঠালেন; ১০ জনপথের বাসভবনে। সেই বৈঠকেই অধীরকে এই নতুন দায়িত্বের কথা জানালেন। বৈঠক সেরে বেরিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের জন্য নির্ধারিত আসনের; একেবারে সামনের সারিতে বসলেন অধীর।