বিশ্বজুড়ে মারণব্যাধি ক্যানসার এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানকেও ভাবিয়ে তুলেছে। এখনও ক্যান্সার কোনও সঠিক চিকিৎসা কিংবা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। মূলত, এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর যাদের ফাস্ট স্টেজে রোগটি ধরা পড়ে তাদের অনেকেই ভাগ্যের সহায়তায় কোনও রকম বেঁচে যান।
আরও পড়ুনঃ চিকেন খেলেও বাড়ছে বিপদ বলছে রিপোর্ট
কিন্তু জেনে রাখা ভালো, ক্যান্সারের অন্যসব কারণের মধ্যে খাবার একটি অন্যতম বড় কারণ। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্যানসার কেন হয়:
শরীরের অতি দ্রুত অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসার তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং অনেক খাবার আবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুনঃ আমলকির আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকারিতা
আলুর চিপস:
চিপসের স্বাদ মচমচে করার জন্য কৃত্রিম রং, ফ্লেভার, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রচুর নুন মেশানো হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই:
আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সময় উচ্চ তাপ ও তেলের সংস্পর্শে অ্যাক্রাইলেমাইড সৃষ্টি হয়ে ক্যানসার হয়।
আরও পড়ুনঃ গাজর এর অসাধারণ উপকারিতা জেনে নিন
প্রক্রিয়াজাত মাংসের খাবার:
বেকন, হটডগ, মিটলোফ, সসেজ, বার্গার ইত্যাদি খাবারে সোডিয়াম নাইট্রেট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সোডিয়াম নাইট্রেটযুক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস মানবদেহে এন নাইট্রোসোতে পরিণত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
সফট ড্রিংকস:
বাজারের কোমল পানীয়তে থাকে ক্ষতিকারক রং, অতিরিক্ত সোডা ও কৃত্রিম চিনি। এটি রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট বাড়িয়ে মেটাবলিক সিনড্রোম ও ক্যানসার তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয়তে ‘৪-মিথাইলমিডাজল’ নামের যে রং থাকে, এটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন
কৃত্রিম চিনি:
কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টের চিনির চেয়ে ১০ গুণ বেশি মিষ্টি এবং ক্যালোরি শূন্য। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খুব জনপ্রিয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে কৃত্রিম চিনি খেলে ব্রেইন ক্যানসার হতে পারে।
অ্যালকোহল:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল মানব দেহে রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যাসিটেলডিহাইডে পরিণত হয়ে ডিএনএ ভেঙ্গে ক্যানসার তৈরি করে।
আরও পড়ুনঃ সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চোখের নিচের কালো দাগ দুর করুন
গ্রিল, বারবিকিউ:
গ্রিল, বারবিকিউ এ ধরনের মাংসে উচ্চ তাপে হেটারোসাইক্লিক অ্যামাইন তৈরি হয়। এ থেকে ক্যানসার হতে পারে।
বিষাক্ত কীটনাশক ও ক্যামিক্যাল যুক্ত ফলমূল:
আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ৩০ ভাগ কীটনাশক হচ্ছে কারসিনোজেন। এটি মানব দেহে কোনো না কোনো ক্যানসার তৈরি করে।
খোলা বাজারের শরবত:
বাজারের শরবতে থাকে দূষিত জল, বরফ ও ক্ষতিকর রং। এগুলো জন্ডিস, হেপাটাইটিস ও লিভার ক্যানসার সৃষ্টি করে।
পুরোনো তেল:
পুরোনো তেল দিয়ে বারবার খাবার রান্না করলে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হয়ে ডিএনএ কে ভেঙে ক্যানসার হতে পারে।
কিছু জিনিস থেকে সাবধান থেকে অনেক সহজেই ক্যানসার থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকতে পারেন। আজ থেকেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি। এই ধরণের খাবারগুলি যতটা সম্ভব বর্জন করার চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকুন।