আমেরিকার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময়েই, এক দু’ষ্কৃতী দ্বারা ছু’রিকাহত হলেন বিখ্যাত লেখক সলমন রুশদি। গুরুতর আহত সলমন রুশদি-কে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুকারজয়ী লেখকের আক্র’মণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুশদি মঞ্চে ভাষণ দেওয়া শুরু করতেই, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মঞ্চে উঠে পড়েন। লেখকের সঙ্গে পরিচয়ের অছিলায়, তাঁকে ছু’রিকাঘাত করে। ছুরির আঘাতের পরেই, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জনপ্রিয় লেখক। তারপরেই বিশেষ হেলিকপ্টারে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিন্তু এখন ব্রিটেনের নাগরিক লেখক সলমন রুশদি, গত ২৫ বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। নিউইয়র্কের শৌতকুয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানে, পঁচাত্তর বছর বয়সি রুশদির উপর এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গেই, প্রেক্ষাগৃহ খালি করে দেওয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন এই হামলা তা জানার চেষ্টা চলছে হামলাকারীর কাছ থেকে।
আরও পড়ুনঃ ডিএ ‘ডেডলাইনের’ ৮ দিন আগে মা-মাটি-মানুষের ‘কারসাজি’, ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস-এর লেখককে, নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’, বিশ্ব জুড়ে বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের পর, বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের মানুষ প্রতিবাদ জানায়। অনেকের তরফেই লেখক-কে মৃ’ত্যুর হু’মকিও দেওয়া হয়। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি, এই বই লেখার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রুশদির বিরুদ্ধে মৃ’ত্যুদণ্ডের ফ’তোয়া জারি করেছিল।