দেহরক্ষীর পরে স্বয়ং ‘দেহ’ও গেল সেই একই জেলে, পাশাপাশি সায়গল-অনুব্রত। সিবিআই বিশেষ আদালতের নির্দেশে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তাঁকে আসানসোল জেলেই থাকতে হবে। এদিকে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও রয়েছে এই আসানসোল জেলেই।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার আগেই, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই পাচার সংক্রান্ত, বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। তাঁর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গেছে। আদালতে চার্জশিটে, সেই তথ্য পেশ করেছে সিবিআই। সায়গলের বয়ানেই অনুব্রতর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে, বলেই দাবি সিবিআই-এর। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় সায়গলের দুর্নীতির দায় নিতে অস্বীকার করেছেন অনুব্রত।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে লুকিয়ে বিদ্যুৎবরণ, খুঁজে বের করল সিবিআই
চার্জশিটে সিবিআই যে তথ্য পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়গল হোসেন অনুব্রতর হয়ে ঘুষ নিতেন। সায়গলের আগে এই মামলায় ধরা পড়েছেন, গরু পাচারের ‘কিং-পিন’ এনামুল হক। এনামুল আর সায়গলের বয়ান মিলে গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এনামুলকে পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি হিসেবে, দিতে হত বছরে প্রায় ২৪ কোটি টাকা।
সায়গলের মাধ্য়েই নাকি সেই টাকা, পৌঁছে যেত অনুব্রতর কাছে। ২০১১ সাল থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে, কাজ করেন কনস্টেবল সায়গল হোসেন। এবার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও অনুব্রত মণ্ডল দুজনেই একই জেলে।