ভোটের মুখে বীরভূমে বিপর্যয়। দলে সম্মান পাচ্ছেন না বলে তৃণমূল ছাড়লেন তিন হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক। দল ছেড়েই তারা যোগ দেন বিজেপিতে। তথাকথিত তৃণমূলের বড় সংগঠক অনুব্রত মন্ডলের বীরভূমের ঘটনা। দল ছাড়লেন বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লক এলাকায় ভুতুরা ও চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার তিনেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে যোগ দিলেন সবাই।
গত বুধবারই নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় বিপুল জনসমাগম প্রত্যক্ষ করে বীরভূম জেলা। তারপরেই উজ্জীবিত হয় তৃণমূলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বীরভূমে মোদীর জনসভার পরেই তৃণমূল ছাড়লেন এত সংখ্যক সমর্থক। বহুদিন ধরেই দলে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তারা। সেই সঙ্গে দলের কিছু নেতা দলের মাথায় উঠে দুর্নীতিতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন বলে তাদের অভিযোগ। প্রকৃত পরিবর্তন তৃণমূল করতে পারেনি, বরং অনুব্রত জমানায় বেড়েছে লাগামছাড়া সন্ত্রাস, এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ করেছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির করতে পারল না বিজেপি, রানীগঞ্জে বললেন মমতা
এদিকে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় অংশগ্রহণের জন্য বীরভূমের নানুরে এক বিজেপি সমর্থকের পোল্ট্রি ফার্ম আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফার্মের প্রায় আড়াই হাজার মুরগী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রচারে বেড়িয়ে দুষ্কৃতীর ভোজালি হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী, কর্মীর গলায় কোপ
নানুরের বাসিন্দা সপ্তর্ষি গুহ বুধবার নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় অংশ নিয়ে গিয়েছিলেন৷ তিনি পেশায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। মাঝ রাতে হঠাৎই তিনি লক্ষ্য করেন, বিধ্বংসী আগুন লেগেছে তার পোল্ট্রি ফার্মে। কিন্তু ততক্ষনে পুড়ে ছাই তার ফার্মের আড়াই হাজার মুরগী। এই ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যদিও এখনো কেউ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি। বিজেপির দাবি, নরেন্দ্র মোদীর সভার সাফল্যে ভীত হয়ে হিংসার পথ অবলম্বন করছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ টার্গেট মুর্শিদাবাদ, অধীরকে হারাতে বহরমপুরে ইমামদের নিয়ে সভা শুভেন্দুর
তবে ভোটের মধ্যেই এইভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান যে অনুব্রতর জেলায় গেরুয়া শিবিরের মনোবল বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই ঘটনাকে খুবই ছোটখাট ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেলার বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা আসনে যে এবার বিজেপির সঙ্গে জোর টক্কর, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।