মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা

775
মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা/The News বাংলা
মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা/The News বাংলা

মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী। নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন অভিযোগই জানাল বিরোধীরা। এদিন মালদায় মৌসম নূরের হয়ে ২টি ও মোয়াজ্জেম হোসেন এর হয়ে ১ টি সভা করেন মমতা। দুই কেন্দ্রের প্রচারে তিনটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে মালদা উত্তর কেন্দ্রের সামসি কলেজ মাঠে একটি জনসভায় মমতার মঞ্চে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতাকে নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে কুখ্যাত সমাজবিরোধীকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করল বিরোধীরা।

আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন ৪২ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ জীবিত সৈনিক

বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সকলেই ওই সমাবেশ মঞ্চের ছবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে। সব বিরোধীদেরই দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে হাজির থাকা মহম্মদ ইয়াসিন দাগী সমাজবিরোধী ও কুখ্যাত মাফিয়া। খুন, ডাকাতি-র একাধিক অভিযোগে জেল খাটা ইয়াসিনকে পাশে নিয়ে ভোটের প্রচার নির্বাচনে শাসক দলের সন্ত্রাসের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের।

আরও পড়ুনঃ পাঁচে পাঁচ, ভোট হয়ে যাওয়া বাংলার ৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি, দাবি মুকুল রায়ের

মালদা উত্তর কেন্দ্রে সামসি কলেজ মাঠে তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নূরের হয়ে সভা করেন মমতা। মমতার পাশেই বসেছিলেন মহম্মদ ইয়াসিন নামে এক তৃণমূল নেতা। বিরোধীদের দাবী, খুন থেকে তোলাবাজি বিভিন্ন অপরাধে বহুবার জেল খেটেছেন দাগী অপরাধী ইয়াসিন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের দিন যাতে বুথ দখল করতে পারে ইয়াসিন, সেটা তাঁকে মঞ্চে রেখে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের বোকামিতে বাংলার ফিল্ম সিরিয়াল পরিচালকদের মাথায় হাত

মালদার রতুয়ার বাহারাল অঞ্চলের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াসিন। খুন, ডাকাতি-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে বহুবার জেল খাটা আসামি ইয়াসিন। বিরোধীদের মতে, “মুখ্যমন্ত্রী তাকে মঞ্চে রেখেছেন যাতে, সে ভোটের দিন বুথ দখল করতে পারে”। কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের মতে, “এখন থেকেই বিরোধীদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ আমাদের কোনও কথাই শুনছে না। নির্বাচন কমিশনকে আমরা জানিয়েছি”।

আরও পড়ুনঃ পয়সা দিয়ে আনা হয় সেলিব্রিটিদের, বিদেশি অভিনেতা প্রসঙ্গে বেফাঁস কল্যাণ

জানা যায়, ইয়াসিন এক সময়ে আরএসপি করত। মোয়াজ্জেম হোসেন যিনি মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, তিনি জেলা সভাপতি হওয়ার পরে ইয়াসিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়। কয়েকবছর আগে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি মন্ত্রী থাকার সময়ে রতুয়ায় তৃণমূলের সভায় মহিলা নেত্রী ও জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিং এর উপরে হামলা চালায় ইয়াসিন।

আরও পড়ুনঃ ফিরদৌসের পর গাজী নূরকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাল ভারত সরকার

মঞ্চের উপরে ফেলে মারা হয় প্রতিভা সিংকে। এর পরে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করে মারার হুমকিও দেয় ইয়াসিন। এক পুলিশ অফিসার কোনওরকমে প্রতিভা সিংকে রক্ষা করেন। পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন প্রতিভা সিং।

আরও পড়ুনঃ রিভালবার নিয়ে বুথে ঢুকে ভোট দেওয়ায় সঞ্জয় দত্তকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন

এর পরে গ্রেফতারও হয় ইয়াসিন। খুন, ডাকাতির নানা মামলায় জেল খাটে বছর দুয়েক। জেল থেকে বের হওয়ার পরে ফের তৃণমূলের সক্রিয় নেতা হয়ে ওঠে। তার স্ত্রীও এখন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। পঞ্চায়েত ভোটে রতুয়ায় বাহারালে বন্দুক উঁচিয়ে ভোট করায় ইয়াসিন। এমনটাই অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় আবার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে ইয়াসিন। এই ছবিই রতুয়া এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলও। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে মহম্মদ ইয়াসিন দাগী সমাজবিরোধী ও কুখ্যাত মাফিয়া মানতে রাজি হয় নি কেউই। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে সেই মতেই সিলমোহর পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ চোপড়া বাস স্টান্ডে বাইক বাহিনীর হাতে আক্রান্ত ভোটাররা

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন