পদ্ম শিবিরে তুমুল ডামাডোল; সামাল দিতে বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। ‘আব কি বার, ২০০ পার’, না ২০০ পার তো হয়নি; উল্টে ১০০ পেরোয়নি বিজেপি। একুশের নির্বাচনে ২০০ পারের লক্ষ্যে; জোর ধাক্কা খেতে হয়েছে। এরপরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও চূড়ান্ত ভরাডুবি। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে; শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। দুবার উপনির্বাচনে হারের ধারা অব্যাহত রয়েছে; শান্তিপুর, দিনহাটা এমনকী আসানসোলও হাতছাড়া হয়েছে। এরপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত শুরু হয়েছে, নেতায় নেতায় ঝামেলা। চূড়ান্ত ডামাডোল বঙ্গ বিজেপিতে। আর এবার সেটা সামাল দিতেই; বাংলায় আসতে হচ্ছে; স্বয়ং অমিত শাহকে।
একুশের নির্বাচনে পরাজয়ের পর; এই প্রথম বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গেছে, সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং শিলিগুড়িতে একটি জনসভা করবেন তিনি। কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে; দফায় দফায় সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। এখন রাজ্য বিজেপিতে যে ডামাডোল অবস্থা চলছে; তা থামাতে তিনি কি ব্যবস্থা নেন সেটাই দেখার বিষয়।
ঠিক কী পরিস্থিতি বিজেপির? একের পর এক ভোটে হারার পড়ে; আদি বনাম নব্য বিজেপির লড়াইয়ে সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিভিন্ন শিবিরে ভাগ বঙ্গ বিজেপি। যত নেতা তত শিবির। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য, সবার যেন আলাদা আলাদা শিবির। তথাগত রায় ও দিলীপ ঘোষ এর বাক্য বিনিময়। লকেট চ্যাটার্জিকে সহ্য করতে পারেন না সুকান্ত মজুমদার। আরও কত ব্যক্তিগত সমস্যা। বিধায়ক–সাংসদরা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। এই আবহে বাংলায় আসছেন সভাপতি অমিত শাহ। তাহলে কী ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই বাংলায় বিজেপির চাণক্য? উঠছে প্রশ্ন।
এরমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী; জেলা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হলেন। সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে লেফট হয়েছেন; বিধায়ক অশোক দিন্দা। শুভেন্দু অধিকারীর জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হওয়া নিয়ে; আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমনকী নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে; বিজেপি নেতা সাহেব দাসও লেফট হয়েছেন।
অমিত শাহ কি কি ব্যবস্থা নেন; সেটাই এখন দেখার। যদিও বঙ্গ বিজেপি নেতারা ডামাডোলের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন; “অমিত শাহজি আসছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে, কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে; সাংগঠনিক বৈঠক করবেন”।