ফের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে; চুরি ২৬টি দামী ইঞ্জেকশন। টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন কাণ্ডের পর; ফের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরির অভিযোগ। এবার অভিযোগ, ২৬টি দামী ইঞ্জেকশন চুরি হয়ে গেছে। কাকতালীয়ভাবে আগেরবারও টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশনও; ২৬টিই চুরি হয়েছিল। অর্থাৎ বারবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চুরি হচ্ছে; ২৬টি করে দামী ইঞ্জেকশন। ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠতেই; বউবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফের সেই মেডিক্যালে ইঞ্জেকশন চুরি! করোনা মহামারী চলাকালীন, গত বছরের জুনে; কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই চুরি হয়েছিল করোনা চিকিত্সায় ব্যবহৃত ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দামের ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন; বেআইনিভাবে হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তির ছিল; হাসপাতালের এক চিকিৎসকের দিকে। ওই চিকিৎসক আবার শাসক দলের এক নেতার ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। প্রভাব খাটিয়ে কর্তব্যরত এক নার্সের কাছ থেকে; ওই ইঞ্জেকশন হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এবার সেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই; ২৬টি ‘ফ্যাক্টর এইট’ নামে দামী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছে। এই ইঞ্জেকশন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে; ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ইঞ্জেকশন উধাও দেখে; হাসপাতলের সার্জারি বিভাগের সিস্টার ইনচার্জ অভিযোগ জানান হাসপাতাল সুপারের কাছে।
সূত্রের দাবি, ২৬টি ইঞ্জেকশনের দাম; প্রায় ১ লক্ষ টাকা। ঘটনায় হাসপাতালের ১ চুক্তিভিত্তিক কর্মীর দিকে; অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ইঞ্জেকশন চুরির তদন্তে নেমেছে; বউবাজার থানার পুলিশ।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন; চুরির বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। টসিলিজুমাব কাণ্ডে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তের পর; অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক চিকিত্সক, নার্সিং ইনচার্জ ও এক নার্সকে কোচবিহারে বদলি করা হয়। এবার নতুন করে ইঞ্জিকশন চুরির অভিযোগে শুরু হয়েছে; পুলিশি তদন্ত।
কর্তৃপক্ষের নাকের ডগা দিয়ে, এত ইঞ্জেকশন যাচ্ছে কথায়? সেবার চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখতে; তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনাটি নিয়ে; খোঁজখবরের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারাও। তবে ৩জনকে ট্রান্সফার করা ছাড়া; আর কিছুই এগোয়নি। এবারও কি ১জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে সাসপেন্ড করেই; দায় সারবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর? উঠে গেছে প্রশ্ন।