আমেঠীর পাশাপাশি লড়তে পারেন কেরালার কোনও একটি লোকসভা আসন থেকে, এমনই সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে কেরালার ওয়াইনড লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেস সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান আর্মি অফিসারদের কম্যান্ডো ট্রেনিং দিচ্ছেন এক নারী
কিন্তু হঠাৎ দুটি কেন্দ্রে লড়াই কেনো রাহুলের? বিজেপির সূত্র বলছে, এবার আমেঠীতে রাহুলের জেতার সম্ভাবনা একদমই নেই। তাই চক্ষুলজ্জার কারণে একটি নিশ্চিত আসন থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন রাহুল। উল্লেখ্য, কেরালার ওয়াইনড লোকসভা কেন্দ্রটি বহুদিন ধরেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। সেক্ষেত্রে আমেঠীতে হেরে গেলেও এই আসনে জিতে রাহুল গান্ধী নিজের সম্মান কিছুটা বজায় রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে দুই হিন্দু নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক মুসলিম ধর্মান্তর
কিন্তু ঘরের মাঠে রাহুলের এই দশা কেনো? যদি একটু ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ফিরে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, সেবার আমেঠী লোকসভা কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী বিজেপির স্মৃতি ইরানীকে মাত্র ১ লক্ষ ৭ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু স্মৃতি হাল ছেড়ে দেননি। আমেঠী লোকসভা কেন্দ্রে দিনের পর দিন মানুষের সঙ্গে থেকেছেন স্মৃতি ইরানী। এলাকায় পরে থেকেছেন দিনের পর দিন।
আরও পড়ুনঃ ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা বিফলে, অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর শুল্ক দফতরের
তার ফলাফল মেলে ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে। আমেঠী লোকসভার অন্তর্ভুক্ত ৫টি বিধানসভার মোট প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা কংগ্রেসের থেকে অনেক বেশি হয়। ৫ টি বিধানসভার মধ্যে ৩ টি তেই বিজেপি কংগ্রেসকে পরাজিত করে।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদী সরকারের চাপে লন্ডনে গ্রেফতার ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির খলনায়ক নীরব মোদী
গত ৫ বছরে বিজেপি এই কেন্দ্রে নিজেদের ভালোই গুছিয়ে নিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে সপা ও বসপার সাথেও কংগ্রেসের কোনও আসনরফা হয়নি। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোনও অঘটন ঘটে, সেরকম কোনও রিস্ক নিতে চাইছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ মুক্তির আগেই বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক
আর এবার আমেঠীর লড়াইকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন স্মৃতি ইরাণী। আর কংগ্রেস সভাপতি স্বয়ং নিজের গড় থেকে হেরে গেলে মুখ লুকোনোর জায়গা থাকবে না কংগ্রেসের। তাই আমেঠীর পাশাপাশি কেরলের এই নিরাপদ আসনে দাঁড়াতে পারেন রাহুল গান্ধী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখনই প্রচারে নেমে পরেছে বিজেপি। যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে অফিসিয়াল কিছু ঘোষণা করা হয় নি।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।