অজয় দেবগণের ফিল্ম দৃশ্যম, বাস্তবে সত্যি হল বাংলার হরিদেবপুরে। কীভাবে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, পরিবারের মা-মেয়েকে কুনজরে দেখা অপরাধীকে হ’ত্যা করে মৃ’তদেহ সরিয়ে ফেলা হয়, সেটাই দেখানো হয় দৃশ্যম সিনেমায়। সেটাই বাস্তব হল, আমাদের বাংলায়। হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খু’নে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। খু’নের ব্লু-প্রিন্ট ছিল, অয়নের বান্ধবীর মায়ের। দে’হ লোপাট করার ছক কষে বান্ধবীর বাবা। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
‘মা-মেয়ে, দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, হরিদেবপুরের অয়নের। দাবি অয়নের বাবার, একই দাবি কলকাতা পুলিশেরও। ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খু’ন অয়ন মণ্ডল, পুলিশ সূত্রে দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, “দশমীর দিন অয়ন বান্ধবীর বাড়িতে এলে, তাকে ইট-বাঁশ-রড দিয়ে মে’রে খু’ন করা হয়”। খু’নের পর দে’হ লোপাটের পরিকল্পনা করে বান্ধবীর বাবা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, পুজো কার্নিভালে গরুর গুঁতোয় মৃত এক আহত অনেক
পুলিশের দাবি, “দুই বন্ধুকে ডেকে পাশের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে, ত্রিপল এনে মোড়া হয় দে’হ। তারপর গাড়ি করে হরিদেবপুর থেকে মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয় মৃ’তদেহ। মৃ’তদেহ লোপাটের আগে অয়নের মোবাইল, সুইচড-অফ করে ফেলা হয় পুকুরে। বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে জলাশয়ে, ফেলা হয় অয়নের মোবাইল।
২১ বছরের অয়ন মণ্ডলকে খু’নের ঘটনায়, গ্রেফতার তার বান্ধবী ও তার মা-বাবা-নাবালক ভাই-সহ ৭ জন। এখানেই অজয় দেবগণের ফিল্ম দৃশ্যম থেকে আলাদা হরিদেবপুর মা’র্ডার। দৃশ্যম ফিল্মে পুলিশ মৃ’তদেহ খুঁজেই পায়নি, কারণ সেটা পোঁতা হয়েছিল নির্মীয়মাণ নতুন থানার নিচে।