স্কুল সার্ভিস কমিশনে তৃণমূল মন্ত্রীদের পরে; এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসলেন; বাংলার দুই বিজেপি বিধায়ক। কল্যাণী এইমসে চাকরি কেলেঙ্কারিতে; নাম জড়াল বিজেপির। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার কন্যা ও নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূর; চাকরি হয়েছে কল্যাণীর কেন্দ্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে। চাকরি হয়েছে বিজেপি নেতাদের সুপারিশে; কোনও পরীক্ষা ছাড়াই! এমন অভিযোগ নিয়ে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে নালিশ করেছেন; এক বিজেপি নেতাই। এই নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে; তোলপাড় বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে; ল্যাজেগোবরে রাজ্য সরকার। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা; সিবিআই জেরার মুখে। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি নেতারা। এবার সেই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত; বিজেপি নিজেই। বাঁকুড়া ও নদিয়া জেলার দুই বিধায়কের ‘কীর্তিতে’; যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। “এই ইস্যুতে এবার বিজেপি সিবিআই চাক; কেন দুই বিধায়ককে ও তাঁদের কন্যা-পুত্রবধূকে; নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করা হবে না”? প্রশ্ন তুলেছেন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ বড় বিপদে রাজ্য সরকার, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৩ মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে
চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পূত্রবধূ; এইমস-এর নার্সিং কলেজে চাকরি পেয়েছেন আপার-ডিভিশন ক্লার্ক পদে। পাশাপাশি বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা; নার্সিং কলেজে ডেটা-এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি করছেন। প্রভাবশালী বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই; পরীক্ষা ছাড়াই দুই বিধায়কের আত্মীয়-দের এইমস-এ চাকরি হয়েছে। অভিযোগ করেছেন, বিজেপির নদিয়া সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে অমিত শাহকে; গত ৬মে চিঠি দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি চিঠিতে লিখেছেন; “চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ তাঁর পূত্রবধূকে ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা নিজের মেয়েকে; কল্যাণীর এইমসে চাকরিতে ঢুকিয়েছেন। এই নেতারা তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা পূরণ করছেন; পার্টি এবং তাঁদের পদকে ব্যবহার করে। অথচ বিজেপির সাধারণ কর্মী, যাঁরা লড়াই করছেন; তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্নীতিপরায়ণ মনোভাবের জন্য”। এরপরেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে।
বঙ্কিম ঘোষের দাবি; “এইমস-এর তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল; পূত্রবধূ পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছে”। নীলাদ্রিশেখর দানার দাবি; “মেয়ে সুপারিশ বা প্রভাব খাটিয়ে নয়; আবেদনের মাধ্যমে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করছে”। কল্যাণী এইমস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিংকে; একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।