মালদহ : একটা দুটো অস্ত্র নয়, আস্ত একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ মালদহের কালিয়াচক থানার শেরশাহি এলাকায়। সব দেখে হতবাক হয়েছেন কালিয়াচক থানার পুলিশ অফিসাররাও।
আরও একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল মালদহে। পুজোর মরশুমে মালদহের কালিয়াচক থানার শেরশাহি এলাকায় একটি গ্রিল ফ্যাক্টারির আড়ালে চলছিল আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর কারবার। শনিবার ভোরে পুলিশ আচমকা সেখানে হানা দিয়ে অসংখ্য রিভলভার, প্রায় ২৪ টি পাইপগান ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর প্রচুর সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে।
ঘটনাস্থল থেকেই বিহারের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। এতবড় একটি অস্ত্র কারখানা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। চোখের সামনে ঘটলেও কি করে মানুষ টের পেলেন না, প্রশ্ন সেখানেও।
গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, শনিবার সকালে মালদহের কালিয়াচক ও মোথাবাড়ি থানার পুলিশের যৌথ একটি দল হানা দেয় মোজমপুর পঞ্চায়েতের শেরশাহি এলাকায়। সেখানে এক গ্রিল ফ্যাক্টারির মধ্যে আচমকা হানা দেয় পুলিশের টিমটি।
সেখানেই গ্রিল ফ্যাক্টারির আড়ালে চলছিল আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর কাজ। ফ্যাক্টারীর ভিতরে হানা দিয়ে কর্মরত আবস্থায় দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় বেশ কিছু সম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রচুর অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ধৃত দুই জনের নাম মহম্মদ তামরেজ (২৫) ও সাহাবুদ্দিন আলিয়াস সাহেব (৫০)। জানা গেছে, ধৃতদের বাড়ি বিহার রাজ্যের মুঙ্গেরের মুশাসিল থানা এলাকায়। উদ্ধার হয়েছে রিভলভার, ২৪ টি পাইপগান ও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধৃত দুইজন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর মিস্ত্রী। তাদের টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছিল মুঙ্গের থেকে। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অর্নব ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গেছে কালিয়াচক থানা এলাকায়। ঘটনায় বিহারের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শনিবার ধৃত দুইজনকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুইজনকে আরও জেরা করার জন্য তাদের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানানো হবে আদালতে।
লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই কি এই অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছিল দুষ্কৃতীরা ? কোন রাজনৈতিক দলের কেউ কি সরাসরি যুক্ত এই বেআইনি অস্ত্র কারবারীদের সঙ্গে ? ধৃত দুইজনকে কে বা কারা নিয়ে এল এই রাজ্যে অস্ত্র তৈরির জন্য ?? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখছে কালিয়াচক থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।