মোদী সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ সম্মান মনোনয়নে বাংলার দুর্গাপূজা

658
মোদী সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ সম্মান মনোনয়নে বাংলার দুর্গাপূজা/The News বাংলা
মোদী সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ সম্মান মনোনয়নে বাংলার দুর্গাপূজা/The News বাংলা

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গীত ও নাটক একাডেমির উদ্যোগে ২০২০ সালে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের মুকুট লাভের জন্য মনোনীত হত বাংলার দুর্গাপূজা। আর এই মুকুট পেলে বাংলার দুর্গাপুজো যে পৌঁছে যাবে বিশ্বের দরবারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দুর্গাপূজা বাঙালির গর্ব, বাংলার অহংকার। প্রতি বছর বাংলার দুর্গাপূজায় সামিল হয় লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিভিন্ন বর্ণ, জাতি, পেশা নির্বিশেষে সকল ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ থাকে বাঙালির এই সেরা উৎসবে। তাই দুর্গাপূজা আজ ধর্মীয় উৎসবের সাথে বৃহৎ সামাজিক উৎসবেও পরিনত হয়েছে। আর বাংলা ও বাঙালির এই সেরা উৎসবকে বিশ্বের দরবারে এবার তুলে ধরতে উদ্যোগী হল মোদী সরকার।

কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রনাধীন সঙ্গীত ও নাটক একাডেমির তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের জন্য ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের সম্মান অর্জন করতে চলেছে কলকাতার দুর্গাপূজা। মনোনয়ন পেয়েছে বাংলার দুর্গাপূজা।

সঙ্গীত ও নাটক একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গাপূজা পশ্চিমবঙ্গের সেরা উৎসব। শুধুমাত্র কলকাতা অথবা বাংলা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, ওড়িশা সহ সারা ভারতেই বিভিন্ন বড় শহরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাসাদ নগরী বা মিছিল নগরী কলকাতার বনেদি বাড়ি ও রাজ্যের বহু জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজা ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। ভারতের বাইরেও বাংলাদেশ সহ বহু দেশে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন দুর্গাপূজা আয়োজন করে থাকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গীত ও নাটক একাডেমির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, দুর্গাপূজার কলকাতা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কলা প্রদর্শনশালা, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকেন। এই কয়েকটি দিন কলকাতা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিনত হয়, সাথে সারা দেশ থেকে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে পরিনত হয় কলকাতা তথা বাংলা। বাংলা ও বাঙালির এই গর্বকেই এবার বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরে সম্মান অর্জনে সচেষ্ট হল কেন্দ্র।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন