ভেদাভেদ ও অসাম্যের রাজনীতি সৃষ্টিকারী সরকারকে পরাজিত করার আর্জি ২০০ লেখকের। সোমবার এক বিবৃতিতে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁদের বার্তা, ভেদাভেদ ও অসাম্যের রাজনীতি সৃষ্টিকারী সরকারকে পরাজিত করা হোক। নজিরবিহীন এই উদ্যোগে শোরগোল পরে গেছে গোটা দেশে। হইচই শুরু হয়েছে দেশের বুদ্ধিজীবি মহলে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের মিমির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ বিজেপির
দেশের ১০০ জন চিত্র পরিচালকের পর, নজিরবিহীনভাবে এবার ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন দেশের প্রায় ২০০ জন লেখক। অমিতাভ ঘোষ, জিত থাইল, অমিত চৌধুরি, অরুন্ধতী রায়, গিরিশ কারনাড, নবনীতা দেবসেন, অনিতা নায়ার, অরিজিৎ সেন, নয়নতারা সেহগাল, উর্বশী বুটালিয়া, নমিতা গোখলে সহ দুশো জনেরও বেশি লেখক ঘৃণার রাজনীতিকে ভোট না দিতে আবেদন করলেন সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হেলিকপ্টার পাচ্ছেন না মমতা, অভিযোগের তীর কেন্দ্রের দিকে
সোমবার এক বিবৃতিতে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে ২০০ জন লেখকের বার্তা, ভেদাভেদ ও অসাম্যের রাজনীতি সৃষ্টিকারী সরকারকে পরাজিত করা হোক। সোমবার লেখকদের সই করা পিটিশনটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। ইংরাজি, হিন্দি, বাংলা, মাললায়ম, তামিল, তেলুগু, মরাঠি, উর্দু, গুজরাটি ও কন্নড় ভাষার বেশিরভাগ সাহিত্যিক সই করেছেন এই পিটিশনে।
আরও পড়ুনঃ বিবেক দুবেকে তৃণমূলের এজেন্ট বলে কটাক্ষ মুকুল রায়ের
পিটিশনে আর্জি জানানো হয়েছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার। সংবিধানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এই ব্যক্তিত্বরা সবার জন্য সমানাধিকার ও নিজের পছন্দের জীবনচারণের অধিকারের কথা বলেছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেষ কয়েক বছর ধরে বিশেষ সম্প্রদায়, জাতি, লিঙ্গ বা অঞ্চল বিচারে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা হচ্ছে। হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করে নিগ্রহ করা হচ্ছে মানুষকে। এই হিংসার রাজনীতি আর তীব্র মেরুকরণের মাধ্যমে দেশকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন লেখকরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ৭ পর্বের ভোটে ঝড় তুলতে ১০ দিন জনসভা করবেন মোদী
তাঁরা জানান, একত্রিত হয়ে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন করা খুব প্রয়োজন। লেখকদের কথায়, তাঁরা চান না আর কোনও যুক্তিবাদী, লেখক বা সমাজসেবীর হত্যা হোক, লাঞ্ছিত হোক। কোনও পুরুষ বা মহিলা, আদিবাসী বা দলিত কাউকেই যেন আর হিংসাত্মক ঘটনার মুখোমুখি হতে না হয়। বিবৃতিতে লেখকরা জানান, তাঁরা ভারতের সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য, দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে একজোট হয়েছেন। অবিলম্বে হিংসার রাজনীতি বন্ধ করাই তাঁদের প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন লেখকরা।
আরও পড়ুনঃ দলের প্রার্থীকে জেতালেই পুরষ্কার সোনার গহনা, বিদেশ ভ্রমনের টিকিট
এর আগে দক্ষিণের ১০০ জন চিত্র পরিচালক এক বিবৃতিতে আবেদন জানিয়েছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যেন কেউ বিজেপিকে ভোট না দেন। আনন্দ পটবর্ধনের মতো বর্ষীয়ান পরিচালক থেকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ভেত্রী মারান প্রায় ১০০ জন চিত্র পরিচালক ও কলাকুশলী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। বিবৃতিতে তাঁদের আবেদন, দেশের সংবিধান ও অখণ্ডতা রক্ষা করতে, এই সরকারকে যেন আর ফিরিয়ে আনা না হয়। সিনেমা পরিচালকদের পর এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন বিখ্যাত লেখকরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।