কংগ্রেসের জন্য চারটি আসন ছেড়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। শুক্রবার ২৫ টি ও মঙ্গলবার আরও ১৩ টি, মোট ৩৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। বহরমপুর, জঙ্গিপুর, উত্তর মালদা ও দক্ষিন মালদা এই চারটি আসন ছেড়ে বাকি ৩৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। জোট না হলে ওই চার আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে জানিয়ে দিয়েছেন বামফ্রন্ট সম্পাদক বিমান বসু।
আরও পড়ুনঃ বাবুলকে ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে কটাক্ষ করলেন ‘সেন্সেশনাল’ মুনমুন
গত শুক্রবারই জোট সঙ্গী কংগ্রেসকে চাপে ফেলে ২৫ টি আসনে ২৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় সিপিএম। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে আলোচনা করে নেন বিমান বসু। বাকি ১৭ আসনের মধ্যেও বামেরা কয়েকটায় প্রার্থী দেবে বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট সম্পাদক বিমান বসু। এরপরেই জোটে জট চলে আসে।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফের মোদী, ভোটের আগেই জানাচ্ছে সাট্টাবাজার
সোমবারই ১১ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেসও। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল আলিমুদ্দিন। এরপর ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় বামেরা। বাকি ১৭ টির মধ্যেও আরও কয়েকটি আসনে বামেরা প্রার্থী দেবে ঘোষণা করায় বাংলায় বাম-কং জোট বিশ বাঁও জলে চলে যায়। সেই হিসাব মতই মঙ্গলবার আরও ১৩ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামেরা।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সঙ্গে সবাই চৌকিদার, অদ্ভুত প্রচার বিজেপির
সোমবার রাতেই প্রথম তিন দফার ১১ টি আসনের জন্য ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ কংগ্রেসের তরফে দেশের বেশ কিছু লোকসভা আসনের সঙ্গে বাংলার ১১ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
প্রথম তিন দফার ভোটে বাংলার ১১ জন কংগ্রেস প্রার্থী হলেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রিয়া রায়চৌধুরী, আলিপুরদুয়ারে মোহনলাল বসুমাতা, জলপাইগুড়িতে মণিকুমার দারনাল, দার্জিলিংয়ে শঙ্কর মালাকার, রায়গঞ্জ আসনে দীপা দাশমুন্সি, বালুরঘাটে আবদুস সাদেক সরকার, মালদহ দক্ষিণ আসনে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু), মালদহ উত্তরে ঈশা খান চৌধুরী, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ আসনে আবু হেনা এবং জঙ্গিপুর আসনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ মমতা কি পাকিস্তানের কণ্ঠ, বিতর্কিত প্রশ্ন নিৰ্মলার
যে ১১ টি আসনে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তার অনেকগুলিতেই বামফ্রন্টও প্রার্থী দিয়েছে। জোট জটের শুরুতে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির হস্তক্ষেপে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনের জট কেটেছিল ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই দুটি আসনেও প্রার্থীদের নামে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর ফলে রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির দল ছাড়ার প্রসঙ্গও আপাতত চাপা পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাম-কং আলোচনা চলছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। কিন্তু চূড়ান্ত হওয়ার আগেই গত শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠকের পর রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সহ ২৫টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একতরফা প্রার্থী ঘোষণাকে ‘অপমান’ হিসাবেই নিয়েছিল কংগ্রেস। সে দিনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বাংলায় বাম-কং আসন সমঝোতা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বাংলায় এগিয়ে তৃণমূল
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে বাকি ১৭ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের জেতা ৪ টি আসন ছেড়ে রেখে কংগ্রেসকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। তবে জোট যে হচ্ছে না সেটা এখন পরিষ্কার। তবে বাম কং জোট ভাঙার দায় নিতে চাইছে না কোনপক্ষই।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।