মোদীর নয়া প্রকল্পে দিল্লি থেকে মুম্বাই সড়কপথে পৌঁছে যাবেন মাত্র ১২ ঘন্টায়। মাত্র ১২ ঘন্টা সময়ের পার্থক্যে সড়কপথে জুড়বে দেশের প্রশাসনিক রাজধানী ও অর্থনৈতিক রাজধানী। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে এমনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এইরকম কম সময়েই দিল্লি থেকে মুম্বাই পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
কেন্দ্রীয় সরকার ‘ভারতমালা পরিযোজনা’ নামে এই প্রকল্পে ৪২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সড়ক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সড়কপথে বিভিন্ন শহরের মধ্যে যোগাযোগ আরও কম সময়ের মধ্যে হবে। দিল্লি থেকে মুম্বাই এর দুরত্ব কমবে প্রায় ২০০ কিমি।
আরও পড়ুনঃ মরে গিয়েও তৃণমূল বিজেপির হাত থেকে রেহাই পেলেন না বড়মা
প্রস্তাবিত এই মেগা প্রোজেক্টে এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে যুক্ত হবে ভদোদরা ও জয়পুর। প্রকল্প গৃহীত হবার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি জানিয়েছেন, “দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবার ৩০ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে”।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায় ভারতীয় সেনার টুপি
সড়কপথে ভ্রমনকারীদের আশার কথা শুনিয়ে গড়করি বলেন, “গাড়িতে করে মাত্র ১২ ঘন্টায় দিল্লি থেকে মুম্বাই পৌঁছে যাওয়া যাবে। ট্রাকের ক্ষেত্রে এই একই পথ যেতে সময় লাগবে ২২ ঘন্টা”। দিল্লি থেকে মুম্বাই এর দুরত্ব নয়া পথে আগের ১৪৫০ কিলোমিটার থেকে কমে হচ্ছে ১২৫০ কিলোমিটার। এই মেগা প্রোজেক্টে কেন্দ্র সরকার কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৫,২০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুনঃ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল মোদীর ১০০ কোটির বাংলো
এই মুহুর্তে দিল্লি মুম্বাই সংযোগকারী ৪ অথবা ৬ লেনের সড়কপথ রয়েছে, যেগুলো হচ্ছে এনএইচ ৪৮, এনএইচ ১৯ এবং এনএইচ ৪৭। তবে প্রস্তাবিত নয়া এক্সপ্রেসওয়েটি হবে ৮ লেনের, যা উন্নত পরিসেবা, অধিক সুরক্ষা এবং উন্নত পরিকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ৮ লেনের হওয়ায় এই পথ সম্পূর্ণ যানজট মুক্ত থাকবে বলে সরকারের ধারণা।
আরও পড়ুনঃ পুলওয়ামা হামলা মোদী ইমরানের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ফল, বললেন কংগ্রেস নেতা
এক্সপ্রেসওয়েটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে ৫ কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বড় বড় জংশন স্টেশনের সাথেও যুক্ত করা হবে। দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের দিল্লি থেকে শুরু হয়ে গুরুগ্রাম, মেওয়াট, কোটা, রাতলাম, গোধরা, ভদোদরা, সুরাট, দহিসার হয়ে মুম্বাইয়ের সাথে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুনঃবৈশাখীর হাত ধরে বিজেপিতে শোভন, জল্পনা তুঙ্গে
মোদী সরকারের ঘোষিত এই প্রকল্পে সময় সাশ্রয়ের ফলে জ্বালানীর অপচয়ও কম হবে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের পার্শ্ববর্তী অনুসারী শিল্প ও কুটির শিল্পে সমৃদ্ধ স্থানগুলোকেও যুক্ত করা হবে যাতে প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া জনসাধারণের উপকারে আসবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এই প্রকল্পে।
আরও পড়ুনঃ এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের অ্যাসিড আক্রান্তরা
আরও পড়ুনঃ দেশ বা সরকারের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই জেল
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় দারিদ্র্যের পরিমান কমবে ২০ শতাংশ
আরও পড়ুনঃ রাফায়েল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।