জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে শুরু করে আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তথা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের সভানেত্রীর স্বামী রবার্ট বঢরা। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আরও পড়ুনঃ মতুয়াদের বড়মার মৃত্যু রহস্যজনক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ইতিমধ্যেই আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির নাম। উল্লেখ্য, এরা সকলেই দেশের নজর এড়িয়ে বিদেশে নিজেদের রক্ষা করতে বিদেশে পালিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এর রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপি নেতা
আর এখানেই বিজয় মাল্য, নীরব মোদীদের সাথে নিজের তুলনা টানলেন রবার্ট বঢরা। অন্যরা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন, কিন্তু বঢরা দেশ ছাড়েননি বলে সাফাই দিলেন তিনি নিজেই। তার বক্তব্য, তিনি এখনও দেশেই আছেন এবং ভবিষ্যতেও দেশ থেকে পলায়ন করবেন না।
আরও পড়ুনঃ দেশদ্রোহী আখ্যা পেয়েও নিজের বক্তব্যে অনড় কংগ্রেস নেতা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নেবার পরেই রবার্ট বঢরা ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পরে তাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বেশ কয়েকবার কটাক্ষও শুনতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে বিমানহানার প্রমাণ সরকারের হাতে, বাকি সব গুজব
৬ই মার্চ বুধবার এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রবার্ট বঢরা বলেন যে, তিনি এখনও এই দেশেই আছেন, কিন্তু দেশের টাকা লুট করে যারা বিদেশে পালিয়েছেন, তাদের কি হবে? ভারত থেকে পালানো বা সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহনের কোনো সম্ভাবনাও তার নেই, সেই ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ ভোটের বাজার মাত করতে আসরে নামছে পিসি
রবার্ট বঢরার নাম আবারও উঠে এলো, যখন ৯০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বিজয় মাল্যকে লন্ডন থেকে প্রত্যার্পনের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। নীরব মোদী ও মেহুল চোসকিও পিএনবি জালিয়াতি কেসে ১৩০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ বুলডোজার দিয়ে উর্দু গেট উড়িয়ে দিল যোগী সরকার
রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে লন্ডনের ব্র্যানস্টনে ১.৯ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি ক্রয় নিয়ে আর্থিক হিসেব অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে মামলা চলছে। দিল্লি হাইকোর্ট ১৯শে অবধি তার অভ্যন্তরীণ জামিন মঞ্জুর করেছে।
কিছুদিন আগে রবার্ট বঢরার করা একটি ট্যুইট ঘিরে তার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা দৃঢ় হয়। যদিও সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে তিনি গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে বিমানে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে বিরোধীদের
রবার্ট বঢরার এই মন্তব্যের পরেই বিজেপির তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাহলে কি নিজের দুর্নীতি স্বীকার করে নিলেন তিনি? কারণ বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসি প্রত্যেকেই দুর্নীতি করে পালিয়েছে। বউ ভগ্নীপতি কংগ্রেসের মাথা বলেই কি রাজনীতিকে আঁকরে ভারত ছেড়ে পালালেন না রবার্ট বঢরা? তবে কংগ্রেসের তরফ থেকে এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলেই অনেকদিন আগেই জানিয়েছে কংগ্রেস।