পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ঠিক কতজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনই কাটছে না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেই কেন্দ্রের বিরোধী দলগুলো মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান কত, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আদৌ সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে যদিও জানানো হয়েছিলো, সঠিক সময়ে প্রমান উপস্থাপন করবে সরকার। কিন্তু এতে রাজনৈতিক তরজা কিছুতেই থামছে না। আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু উল্লেখ না করায় জল্পনা আরো বেড়েছে।
কেন্দ্র সরকার বিরোধী দলগুলোকে টার্গেট করে সেনাবাহিনীর প্রতি অবিশ্বাসের বাতাবরন তৈরির অভিযোগ এনেছে। এই অবস্থায় মুখ খুললেন এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফলে কতজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে, সেই প্রশ্নের জবাবে ধানোয়া বলেন, বায়ুসেনার কাজ সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানা। মৃতদেহ গুনে দেখা বায়ুসেনার কাজ নয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানা সম্ভব হয়েছে। বায়ুসেনা সেদিক থেকে সফল৷ তিনি আরও বলেন, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানের হিসেব সরকার দেবে।
মাত্র ১৯ মিনিট সময় লেগেছে। তার মধ্যেই কাজ শেষ। পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে ভারতের ১২টি মিরাজ ফাইটার জেট ১০০০ কেজি বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে থাকা গড়ে ওঠা সব জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প। পুলওয়ামা কাণ্ডের যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত। নিকেশ ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি, এমনটাই দাবি ছিল। ১৯ মিনিটের অপারেশনে মাজা ভেঙ্গে গেছে পাকিস্তানের, বিমান বাহিনী সুত্রে এমনটাই জানান হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৩.৩০ এ শুরু হয় অপারেশন। ভোর সাড়ে তিনটেয় ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেস থেকে আকাশে ওড়ে ১২টি মিরাজ ২০০০ জঙ্গিবিমান পাকিস্তানের বালাকোট এ প্রথম হামলা করে বিমান বাহিনী ভোর ৩.৪৫-৩.৫৩ এর মধ্যে। মুজাফরাবাদ এ ৩.৪৮-৩.৫৫। ও চাকোটিতে বোমা ফেলে ৩.৫৮ থেকে ৪.০৪ এর মধ্যে। ১৯ মিনিটের অপারেশনে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সীমান্ত পাড়ের পাক জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। মৃত ৩০০ জঙ্গি।
এরপরেই এই অপারেশনের প্রমাণ চায় বিরোধীরা। মমতা, কেজরি হয়ে সিধু সবাই প্রমান চান। কেন্দ্র সরকার বিরোধী দলগুলোকে টার্গেট করে সেনাবাহিনীর প্রতি অবিশ্বাসের বাতাবরন তৈরির অভিযোগ এনেছে। এই অবস্থায় মুখ খুললেন এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া।