ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি করতে এসে গুলি খেল পাক গুপ্তচর ড্রোন। গুজরাট সীমান্তে পাক গুপ্তচর ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার গতি প্রকৃতি নজরে রাখতেই পাক গুপ্তচর ড্রোন ভারতের আকাশে উড়ছিল বলেই ভারতীয় সেনার তরফে জানান হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালেই গুজরাট সীমান্তে দেখা গেল পাকিস্তানি ড্রোন। সঙ্গে সঙ্গেই তা গুলি করে নামিয়েছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর বা পিওকে–তে এবং পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে কার্পেট বম্বিং করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
মুজাফরবাদ দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ৮০ কিলোমিটার ঢুকে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজাফরবাদে ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান ১০০০ কেজি বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে জৈশ, হিজবুল, লস্করের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি। মাত্র ১৯ মিনিটের কার্পেট বম্বিং এ খতম প্রায় ৩০০ পাক জঙ্গি।
কাশ্মীরে প্রত্যাঘাতের পর এবার গুজরাতের কচ্ছ সীমান্তে একটি পাকিস্তানের ড্রোন গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ নাগাদ গুজরাতের কচ্ছ সীমান্তে একটি পাকিস্তানের ড্রোন নজরে আসে সেনার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেটা গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনা।
তার কয়েক ঘণ্টা পর এদিনই সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ নাগাদ গুজরাটের কচ্ছ সীমান্তে ঢুকে আসে একটি পাক ড্রোন। দেখতে পেয়েই সেটাকে গুলি করে নামায় সেনাবাহিনী। যদিও এই ড্রোন ভোরের বিমান অভিযানের পাল্টা আঘাত কিনা তা এখনও ভারত বা পাকিস্তান, কোনও পক্ষই স্বীকার করা হয়নি।
পাক মাটিতে ভারতীয় হানার পরেই ভারত সীমান্তে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়। সেই মতো পাক জবাবের জন্য তৈরিই ছিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। সেই মতো এ দিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুজরাতের কচ্ছে ভারত-পাক সীমান্তে একটি পাক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ড্রোন ভারতের সেনার উপরে নজরদারি করার জন্যই সম্ভবত পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। চিন থেকে এমন অনেক ড্রোনই পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে। ভোরে বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের কয়েক ঘণ্টা পরই গুজরাতের কচ্ছ সীমান্তে ড্রোন পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু সেনা অত্যন্ত সতর্ক থাকায় পাকিস্তানের ছক বানচাল হয়েছে।
বলা যায় নজরদারি করতে এসে গুলি খেল পাক গুপ্তচর ড্রোন। ড্রোন ক্যামেরায় কি কি ছবি উঠেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো সীমান্ত এলাকাতেই জোরদার সতর্কতা জারি হয়েছে।