মোদী হঠাতে প্রকাশ্য জনসভায় আজব নিদান দিলেন কংগ্রেসের শরিক দলের এক নেতা, যা নিয়েই এবার বিতর্ক তুঙ্গে গোটা দেশ জুড়ে। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে ভোট প্রচারে কংগ্রেসের শরিক মহান দলের নেতা কেশব দেব মৌর্য সম্প্রতি এক জনসভায় বলেন, “প্রার্থী কে সেটা দেখার দরকার নেই, শুধু হাত চিহ্ন দেখেই ভোট দেবেন। প্রার্থী পাকিস্তানি হলেও অসুবিধে নেই”। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে, এইধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে হতবাক রাজনৈতিক জগতের অনেক ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে নাভিশ্বাস পাকিস্তানের ফের একটা সুযোগ ভিক্ষা
আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়তে ৮০ লোকসভা বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে আসনরফা হয়েছে আখিলেশের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির মধ্যে। কংগ্রেসকে আমেঠি ও রায়বেরিলি দুটো আসন ছাড়লেও কংগ্রেসকে তারা জোটে নেয়নি। এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর কংগ্রেস একাই অনেকটা উজ্জীবিত বলে নিজেদের মনে করছে।
আরও পড়ুনঃ পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীকেই যোগ্য বলছেন দেশের মানুষ
একা লড়তে গিয়েও উত্তরপ্রদেশে ছোট কিছু স্বতন্ত্র দলের সাথে জোট করেছে কংগ্রেস। এমনই একটি দল ‘মহান দল’, যার দলেরই সুপ্রিমো কেশব দেব মৌর্যের এহেন মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে কংগ্রেস। তিনি যখন এই মন্তব্য করেন, তখন মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর, রসিদ আলভী, নসিমুদ্দিন সিদ্দিকী সহ দলের অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুনঃ সিবিআই ইডি তদন্ত থেকে বাঁচাতেই কি স্বামীকে রাজনীতিতে আনছেন প্রিয়াঙ্কা
এর আগেও কংগ্রেসের প্রথম শ্রেনীর নেতা মনিশঙ্কর আইয়ার পাকিস্তানে গিয়ে কেন্দ্র সরকারকে সরানোর জন্য পাকিস্তানের সাহায্যপ্রার্থী হয়েছিলেন, যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়। আর এবার প্রায় একই লাইনে হাঁটলেন সেই কংগ্রেসেরই শরীক দলের নেতা, যা নিয়ে স্বভাবতই আসরে নেমেছে বিজেপি সহ দক্ষিনপন্থী দলগুলি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব জুড়ে প্রভাব ফেলে শান্তি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মহান দলের এক মহান নেতার ফতেয়ায় এবার শোরগোল পরে গেছে গোটা দেশে। ভোটের মুখে কংগ্রেসকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন মহান দলের এই মহান নেতা। আর কংগ্রেস শরিক দলের এই নেতার মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুনঃ ভারতের নদী থেকে একফোঁটাও জল দেওয়া হবে না পাকিস্তানকে
কিন্তু একজন নেতা শুধুমাত্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে দেশের এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি প্রার্থীকেও ভোট দিতে নিদান দিচ্ছেন, এটাই ক্ষুব্ধ করেছে আম আদমিকেও। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই বক্তব্য যে কতটা মুর্খামির পরিচয় দিতে পারে তা বোঝার ক্ষমতাও নেই ওই নেতার, বলছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ চিরশত্রুকে শিক্ষা দিতে ভারত পাক যুদ্ধ চান বাবা রামদেব
জানা গেছে, কংগ্রেসের তরফ থেকেও এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই মন্তব্য কংগ্রেস দলের নয় বলেই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরণের বক্তব্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ভোট যে কমিয়ে দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। আর এই মন্তব্য নিয়েই রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে বিজেপি।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।