জম্মু কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। এখন পর্যন্ত শহিদ ২০ জওয়ান, গুরুতর আহত প্রায় ২৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে জম্মু-কাশ্মীরে এই বড়সড় জঙ্গি হামলা ভোট বানচাল করা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলা বলেই প্রাথমিক অনুমান।
প্রথমে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি লক্ষ করে আইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তারপর ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। সিআরপিএফ কনভয়ের গাড়িটি টহল দিয়ে ফেরার সময় এই আক্রমণ হয়। অবন্তীপুরায় জাতীয় সড়কের উপরেই এই হামলা চলে। তদন্তে উঠে আসছে, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলার তথ্য। আদিল আহমেদ নামে এক জইশ জঙ্গি এই আত্মঘাতী হামলা চালায় বলেই প্রাথমিক রিপোর্ট।
কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালাল জঙ্গিরা। প্রথমে কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তারপর গাড়ি ঘিরে ধরে গুলিবৃষ্টি করতে থাকে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ২০ জন জওয়ান। আহত হন অন্তত ২৫ জন। আহতদের অবস্থা বেশ গুরুতর। ফলে বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা। বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে।
পুলওয়ামার অবন্তীপুরা এলাকার জাতীয় সড়কের উপরেই সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আইইডি বোঝাই গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেনার কনভয় এর দুটি গাড়ি। এরপর সেই গাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন ২০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।
গুরুতর জখম আরও ২৫ জন। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ৷ বিস্ফোরণে যুক্ত আদিল আহমেদ নামে এক জইশ জঙ্গির নাম উঠে আসছে তদন্তে। তার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, বিস্ফোরক ভরতি বোঝাই গাড়িটি আদিলই চালাচ্ছিল৷ তবে সবটাই প্রাথমিক অনুমান বলে জানান হয়েছে। বেশ কিছু জঙ্গি আগে থেকেই একটু উঁচু জায়গায় পজিশন নিয়ে রেখেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকালে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি টহল দিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীর ফিরছিল। সেই সময় কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে জঙ্গিদের একটি গাড়ি এসে জাতীয় সড়কের উপরেই এই হামলা চালায়। প্রথমে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি লক্ষ করে আইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর ঝাঁকে ঝাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় গাড়িটি। সিআরপিএফ এর ওই গাড়িতে প্রায় ৪৫ জন এর বেশি সিআরপিএফ জওয়ান ছিলেন। এটাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ।
জানা গিয়েছে, জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে হঠাৎই কনভয়ের মাঝে ঢুকে আসে একটি গাড়ি। যাতে আইইডি বোঝাই করা ছিল৷ সেনা কনভয়ের সঙ্গে ধাক্কায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কনভয়টিকে ঘিরে ফেলে জঙ্গিরা। লাগাতার গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় গাড়িটিকে। শহিদ হন ২০ জন সিআরপিএফ জওয়ান, গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ২৫ জন। বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে।
আহতদের ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে নাকা তল্লাশি। লোকসভার আগে এই ধরনের জঙ্গি হামলার আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিলেন গোয়েন্দারা। এমনকী, ৮-১০ দিন আগেও উপত্যকার সেনাকে সতর্ক করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ কিন্তু তাও কেন এই ধরনের হামলা এড়ানো গেল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ উরির পর এই প্রথম এত বড় মাপের একটি হামলা ঘটাল জঙ্গিরা।