বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে চার মাস পর এই ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। ভস্মীভূত ওই মার্কেটের মালিক রাধা বাগরি, তাঁর ছেলে বরুণ রাজ বাগরি এবং ম্যানেজার কৃষ্ণকুমার কোঠারির নাম এই চার্জশিটে রয়েছে বলেই জানা গেছে। আপাতত পলাতক তিনজনেই। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে বড়বাজার থানার পুলিশ জমা দেয় এই চার্জশিট।
বাগরি অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে চার মাস পর চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে বাগরির ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে বড়বাজার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগরি মার্কেটের দুই ডিরেক্টর রাধা বাগরি ও বরুণ বাগরির নাম রয়েছে চার্জশিটে। একইসঙ্গে চার্জশিটে নাম রয়েছে ম্যানেজার কৃষ্ণকুমার কোঠারির। গত সেপ্টেম্বরে বাগরি অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই বেপাত্তা ওই তিন জন।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহের সভার পর কাঁথি রণক্ষেত্র, রাজনাথের ফোন মমতাকে
আরও পড়ুনঃ মমতার স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের এক রোহিঙ্গার
ওই তিন জনের নামে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। একইসঙ্গে জারি করা হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। অভিযুক্তদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে। অগ্নিকাণ্ডের পর এখনও অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি পুলিশ।
পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১১ বি, ১১ সি এবং ১১ জে ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও ওই চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাতেও। আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছে বড়বাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পরেও লোকসভা ভোটে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায়
আরও পড়ুনঃ ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গভীররাতে আগুন লাগে বড়বাজারের বাগরি মার্কেটে। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যেই ওই মার্কেটের সর্বত্র আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৩০টির বেশি ইঞ্জিন দিয়েও ঘিঞ্জি এলাকার ওই মার্কেটের আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। টানা কয়েকদিন ধরেই আগুন নেভানোর কাজ চলে।
দমকল কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় তিনদিন পর নেভে বাগরির আগুন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কয়েকশো কোটি টাকার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুজোর মুখে এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন বহু ব্যবসায়ী। তাঁরা অভিযোগ করেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিক না হওয়ার জেরেই অগ্নিকাণ্ড এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। এছাড়াও ওই মার্কেটে জলের বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ীরা। তদন্তে নামে বড়বাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ বিরোধীদের অভিযোগ ও মমতা প্রশাসনের রিপোর্ট নিতে বাংলায় নির্বাচন কমিশন
আরও পড়ুনঃ কেবল টিভি দেখা নিয়ে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মানুষকে স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে, মার্কেটের মালিক রাধা বাগরির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও তিনি ফেরার। শহর ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁর ছেলে বরুণ রাজ বাগরি এবং মার্কেটের ম্যানেজার কৃষ্ণকুমার কোঠারিও৷ অগ্নিকাণ্ডের চারমাস পর ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করা হল। ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেই তাঁদের খোঁজ শুরু করবে বড়বাজার থানার পুলিশ।
১৯৫৫ সালে তৈরি হয় এই মার্কেটটি। বাগরি মার্কেট কলকাতার অন্যতম হোলসেল মার্কেট। যেখান থেকে শুধু কলকাতা নয়, উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে নানান ধরনের জিনিস পাইকারি করা হত। রয়েছে বহু ওষুধ ও প্রসাধনীর দোকান। হাজার মানুষের ভরসা বাগরি মার্কেট আবার কবে পুরোপুরি খুলবে সেটাই এখন প্রশ্ন সবার।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।